কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন আর আগুন সম্পর্কে খালা-ভাগনে। সাবিনার বড় বোন নীলুফার ইয়াসমীন মারা গেছেন ১৮ বছর হলো। বেশ ক বছর হলো খালা সাবিনার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ নেই আগুনের। এমনকি কথাও হতো না। দীর্ঘ বিরতির পর সেদিন দেখা হলো তাঁদের। সেদিন ছিল কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীনের মৃত্যুবার্ষিকী। এক আবেগঘন পরিস্থিতির অবতারণা হলো এদিন। ভাগনেকে পেয়ে কেঁদে ফেললেন সাবিনা, খালাকে পেয়ে কাঁদলেন আগুনও। দুজনের আবেগ স্পর্শ করেছিল আশপাশের সবাইকে।
১০ মার্চ ছিল কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীনের মৃত্যুবার্ষিকী। ঢাকার উত্তরা ক্লাবে এ দিন সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করেন সাবিনা ইয়াসমীন। একই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন আগুন। অনুষ্ঠানের ফাঁকে খালা সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে দেখা হয় ভাগনের। দুজন অনেকক্ষণ কথা বলেন, আড্ডা দেন তাঁরা।
মনোমালিন্য থেকে সাবিনা ইয়াসমীন ও আগুনদের পরিবারের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। দুজনের ঘনিষ্ঠ সূত্রও তা-ই বলে। তবে তা মানতে নারাজ সাবিনা ইয়াসমীন। কত দিন দেখা হয়নি, কেন হয়নি জানতে আজ শুক্রবার সকালে কথা হয় সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কিছুই না, শুধুই পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে আমাদের এত দিন দেখা হয়নি। আগুন তার মতো করে ব্যস্ত থাকত, আমাকেও কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হতো। তবে আমার সঙ্গে আগুনের স্ত্রীর নিয়মিত কথা হতো। তাঁর কাছ থেকেই আগুনের সব খবরাখবর পেতাম।
বিনোদন অঙ্গনের কারও কারও মতে, সাবিনা ইয়াসমীন ও আগুনের পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রায় দুই দশক। এ প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘নীলুফার আপা যে মারা গেছেন তা-ও তো ২০ বছর হয়নি। ২০ বছর যোগাযোগ নেই, সেটা ঠিক নয়। বছর ৬ হবে হয়তো, আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা হয় না। তবে এটা পুরোপুরি দুজনের পেশাগত ব্যস্ততা ছাড়া আর কিছুই না।’
সেদিন আপনাকে কাঁদতে দেখা গেল যে! আবেগময় সেই মুহূর্তের কথা মনে করিয়ে দিলে সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘আসলে অনেক বছর ধরে দেখা নেই তো, তাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। তা ছাড়া ওই দিন নীলুফার আপার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, সবকিছু মিলেই অবস্থা একটু অন্য রকম ছিল। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। এটা হওয়াই স্বাভাবিক।’
করোনাকালে ঘরেই ছিলেন সাবিনা। ঘরের কাজ করেছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে করোনার টিকা নিয়েছেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়ে বাঁধন। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রথম আলোকে তিনি জানিয়েছিলেন, কোনো সমস্যাই অনুভব করেননি তিনি। সুন্দর পরিবেশে কোভিড-১৯-এর টিকা দিতে পেরে বেশ ভালো লেগেছে তাঁর। বিশ্বের অনেক দেশ যখন করোনার টিকা পায়নি, তখন বাংলাদেশের মানুষ করোনার টিকা পেয়েছে বলে আনন্দিত এই শিল্পী।
জীবনের তৃতীয় গানটি গেয়ে সবার নজরে পড়ে যান সাবিনা। ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ শিরোনামে ওই গানটির রেকর্ডিং করা হয় ১৯৬৭ সালে। ‘অবুঝ মন’ সিনেমার গান ছিল সেটি। গানটির গীতিকবি ছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুরকার আলতাফ মাহমুদ। এরপর কেবলই এগিয়ে যাওয়ার পালা।