মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি রিসোর্টে উঠা এক দম্পতি রাত্রি যাপনের সময় এ রিসোর্টের দুই কর্মচারী টিস্যু বক্সে গোপন ক্যামেরায় তাদের অন্তরঙ্গ দৃশ্য ধারণ করে। এ সময় ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দম্পতির নিকট একাধিকবার মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছে।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ রিসোর্টের দুই প্রতারক কর্মচারীকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছে রক্ষিত দুটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয় । শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তথ্যটি নিশ্চিত করেন শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছালেক আহমদ।
তিনি জানান, মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলা কালা রায়ের চর এলাকায় এ দম্পতির বাড়ি। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বেড়াতে আসনে। এ সময় এই দম্পতি মৌলভীবাজার রোডের তামিম রিসোর্টে ওঠেন। এ রিসোর্টের দুই কর্মচারী রেদওয়ান ও খালেদ অতি কৌশলে তাদের রুমের টিস্যু বক্সের ভেতর গোপন ক্যামেরা রাখে।
এ ক্যামেরায় তাদের একান্ত অন্তরঙ্গ দৃশ্য ভিডিও ধারণ করা হয়। কিছুদিন পর মোবাইল ফোনের ইমু নাম্বারে ফোন দিয়ে জানায়, কিছু নোংরা ছবি ও ভিডিও রয়েছে তাদের কাছে। ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিতে জানিয়ে লাইন কেটে দেয়। এরপর ২১ অক্টোবর নাদিরা আক্তার রুমি নামে একটা ম্যাসেঞ্জারে এ দম্পতির খোলামেলা কিছু গোপন দৃশ্যের ভিডিও পাঠায়। পরবর্তীতে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি দেয় তা নাহলে ভিডিও ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখায়।
প্রতারকের এমন হুমকিতে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি এদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেও কোনো সঠিক সমাধান করতে ব্যর্থ হোন । একপর্যায়ে দুই প্রতারক টাকা না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ও নোংরা ছবি আপলোড দিয়ে ভাইরাল করে।
এ ঘটনায় উক্ত দম্পতি বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সিলেট কানাইঘাট উপজেলা থেকে রেদওয়ান ও শ্রীমঙ্গল থেকে খালেদ নামের এ দুই প্রতারককে আটক করে। এ দুই প্রতারক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে।
এ জাতীয় আরো খবর..