ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাইক্রো দিয়ে যাত্রীবেশে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে নারায়নগঞ্জ কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনপুর সড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আরও দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। আটককৃতদের কাছ থেকে পুলিশ ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি নোয়া গাড়ি ও ছিনতাইয়ের হাতিয়ার গামছা, বিদ্যুতের তারসহ ৬ হাজার ১৭৫ টাকা জব্দ করেছে।
গ্রেফতার আসামি শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার ফকিরকান্দি গ্রামের রহিমের ছেলে মফিস উদ্দিন ও বাগেরহাট জেলার চিতাশাল থানার চিতলমারি গ্রামের তাহাজেদ সর্দারের ছেলে শিমুল (৪০)।
জানা যায়, ছিনতাইয়ের শিকার ইসমাইল হোসেন নামের এক যাত্রী জানায়, কুমিল্লায় যাওয়ার উদ্দেশে তিনি মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে যাত্রীবেশে আনা একটি নোয়া গাড়িতে উঠেন। অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীবেশে গাড়িতে থাকা ছিনতাইকারীরা তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে মারধর করে সঙ্গে থাকা নগদ ৪৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ সময় ভিকটিমের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে সিম ফেলে মোবাইল ফেরত দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
কাচঁপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, মদনপুর থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি নোয়া গাড়ী নাম্বার ঢাকা মেট্রো চ ১৩ ৪৮৮৮ ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত লাঠি, গামছা, বিদ্যুতের তার ও ছিনতাইকৃত নগদটাকাসহ দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেন। এ সময় অপর দুই ছিনতাইকারী পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিৎ করেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা প্রতিনিয়ত মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীদের যাত্রীবেশে গাড়ীতে তুলে নিয়ে গলায় গামছা ও বিদ্যুতের তার পেচিয়ে নির্যাতন চালায়, যাত্রীর নিকট থাকা নগদ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। অনেক সময় যাত্রীর নিকট নগদ টাকা না পেলে মোবাইলে ভিকটিমের পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। পরে চলন্ত গাড়ী থেকে যাত্রীদের ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। ধৃত আসামিদের বিষয়ে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি জানান, ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ ৫/৬ মাস যাবৎ বিশাল একটি চক্র বিভিন্ন গাড়ী ব্যবহার করে যাত্রীবেশে যাত্রীকে গাড়িতে ওঠিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয়, কিছু ঘটনায় যাত্রীদের চলন্ত গাড়ীতে আটকে রেখে হত্যার ভয় দেখিয়ে নিকটত্বীয় ও পরিবারের লোকজন থেকে কৌশলে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। মহাসড়কে যত ছিনতাইকারী চক্র রয়েছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে গ্রেফতার করতে পুলিশের ঊদ্ধত্বন কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। আসামিদের বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে পুলিশ।
এ জাতীয় আরো খবর..