সাভারে রবিউল ইসলাম লস্কর নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের আরও দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওরের আব্দুল জলিলের ছেলে আসলাম (৩২) এবং তারা মিয়ার ছেলে টিটু মিয়া (২৮)।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় তাদের মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করানোর জন্য আদালতে পাঠানো হবে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর নিহত হোটেল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম লস্কর ভাগিনার সাথে দেখা করার জন্য কর্মস্থল মিরপুর থেকে সাভারের জামগড়ার যান। ভাগিনার সাথে দেখা করে স্থানীয় ইসলামিয়া হোটেল মালিকের সাথে দেখা করার কথা বলে বিকেলে জামগড়া ত্যাগ করেন। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার সময় তার ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে মেয়ের সাথে শেষ কথা বলেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে একই মোবাইল থেকে তার মায়ের ফোন নম্বরে ফোন করে রবিউল খুন হয়েছে বলে জানায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। পরে সাভারের বলিয়ারপুরের যমুনা ন্যাচারাল পার্কের গেটের পাশ থেকে রবিউল ইসলাম লস্করের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার পায় পুলিশ পিবিআই’র ঢাকা জেলা।
এ ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৩ অক্টোবর সাভার থেকে ডাকাত দলনেতা বসির মোল্লাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে তার দেয়া তথ্যমতে সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও ডেমরা থেকে আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সালেহ ইমরান জানান, গত ৪ অক্টোবর গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের নিরালা পরিবহনের একটি বাস কুয়াকাটা যাওয়ার কথা বলে তিন দিনের জন্য রিজার্ভ নেয়। পরে ওই বাস দিয়ে মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ীতে ডাকাতির কাজ শেষ করে ফেরার সময় নিহত রবিউল আশুলিয়ার নবীনগর থেকে ওই বাসে ওঠে। বাসের ভেতরে ডাকাতির সময় রবিউল চিৎকার করলে তাকে ডাকাত সদস্যরা চেপে ধরে ও দলনেতা হুইলরেঞ্জ দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই রবিউল মারা যায়।
গ্রেফতারকৃতরা সবাই ড্রাইভার ও হেলপার। তারা সাভার, ধামরাই ও যাত্রাবাড়িতে থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দল প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন ধরে বাসে ডাকাতি করে আসছিল। বিভিন্ন রুটের গাড়ি ভাড়া নিয়ে স্টিকার পরিবর্তন করে রং দিয়ে বিভিন্ন রুটের নাম লিখে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতি করে আসছিল চক্রটি।
এ জাতীয় আরো খবর..