চট্টগ্রামের একটি ইলেকট্রনিকস ব্যবসা থেকে ২ কোটি ৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি তদন্ত দল। এতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় ভ্যাট অফিসে প্রকৃত বিক্রয় হিসাব গোপন রেখে কম হিসাব প্রদর্শন করেছে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) ভ্যাট গোয়েন্দার দল একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত পরিচালনা করে। সংস্থার পরিচালক মুহাম্মদ মহি উদ্দিন এই তদন্তে নেতৃত্ব দেন। প্রতিষ্ঠানটি হলো এসি বাজার লিমিটেড, সোনারপাড়া, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম। এর ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর ০০০৪৫৮১২২-০৫০৮। এসি বাজার প্রতিষ্ঠানটি ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, এসি, হিটার, ওয়াশং মেশিনসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস সামগ্রী তৈরি, সংযোজন ও আমদানি করে থাকে।
তদন্ত অনুসারে, এসি বাজার ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মোট ‘একশ একুশ কোটি পনের লাখ সাতাশি হাজার তিনশত সাতান্ন’ টাকার পণ্য সরবরাহ করে। তদন্তে দেখা যায় এই সময়ে তাদের প্রকৃত বিক্রয় ‘একশো চব্বিশ কোটি সাতাত্তর লাখ নয় হাজার আটশো আটান্ন’ টাকা। এই বিক্রয় গোপন রাখায় এসি বাজার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ‘চুয়ান্ন লাখ আঠারো হাজার তিন শত পঁচাত্তর’ টাকা। অন্যদিকে, লিমিটেড কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের ব্যয়ের উপর ভ্যাট প্রযোজ্য হলেও তা যথাযথভাবে পরিশোধ করা হয়নি। এতে ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ৬২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
উভয় ক্ষেত্রে সময়মতো ভ্যাট পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী ২% হারে সুদ আরোপ হবে মোট ৮৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। মোট ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা ও সুদসহ ২ কোটি ৩ লাখ টাকা আদায়যোগ্য হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।