এভাবে ধর্ষণ বলাৎকার হরহামেশাই ঘটছে —- বাসাবাড়ি, অফিস আদালত, ঝোপঝাড় এমনকি চলন্ত বাসট্রেনেও।
পাড়ার সবচেয়ে ভদ্র ছেলেটা,মসজিদের বড় হুজুর,বাড়ির বড়কর্তা সবাই যেন দলবেঁধে নেমেছে এই ক্রিয়াকর্মে।খবরে খবরে উত্তপ্ত খবরের মাঠ। চ্যানেল ঘুরালেই সচক্ষে দেখার অভিলাষের পূর্ণতা। এক থেকে তেত্রিশ নম্বর,ধর্ষণ আর ধর্ষণ। বাচ্চা মেয়েটি পাষন্ড চাচার হাতে,কিশোরী মেয়েটি তার স্কুল টিচারের কাছে,আর ঘরের বউ প্রভাবশালী উঠতি নেতার কাছে। পত্রিকায় হট নিউজ,ফেসবুকে সত্যমিথ্যার রূপকথার সচিত্র ইতিহাস।
আর টিভিতে,,,? চ্যানেল ঘুরানোর সাধ্য নেই,রাতবিরাতে ধর্ষণের আদ্যোপান্ত চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ। কাপড় খোলা থেকে শুরু করে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া,রতিক্রিয়া পর্যন্ত। যেন বলেও তৃপ্তি নেই,শুনেও স্বস্তি নেই। ইশ ইশ করতে করতে নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করার এক অশুভ প্রতিযোগিতা।
মুখে মুখে ধর্ষণে ঘর্ষণে তোলপাড় শব্দ তরঙ্গ।
রান্নাঘরে আগুনে পুড়ে যাচ্ছে সাধের খাবার,তবুও মা দেখছে তো দেখছে। বাবা বাথরুমের প্রেসার থামিয়ে হা করে সব গিলছে। ছেলেমেয়েদের বই পড়ে আর কি হবে ! কেউ বাবার দিকে কেউ মায়ের দিকে অবাক হয়ে দেখছে,ওমা কি সার্কাস !
পুরো দেশে মুখরিত পঁচা গন্ধে,ধর্ষণ আর ধর্ষণ। রাজধানী ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের বোদা পর্যন্ত হাওয়ার বেগে উড়ে বেড়াচ্ছে খবর। জলজ্যান্ত পশুর এক অসভ্য কর্মকান্ড। কৃষক শ্রমিক কামার কুমার জেলে তাঁতি থেকে শুরু করে
বটতলায় বসা অন্ধ ভিখারিটিও জেনে গেছে লোমহর্ষক এই অসভ্য কাহিনীটি।
যে পারে সে বলছে, যে না পারে সেও বলছে। মন্ত্রীমিনিস্টার আমলা কামলা দারোয়ান পিয়ন এমনি লিফটে সুইট টিপা অপারেটরের মুখেও নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে চলছে ধর্ষণ আর ধর্ষণ ।
টিভি ক্যামেরায় সংবাদকর্মীর প্রশ্ন শুনেই নতুন করে ধর্ষিত হচ্ছে ধর্ষিতার মা বাবা এমনকি পুরো পরিবার। আচ্ছা,আপনার মেয়েটি ধর্ষিত হলো কেমন করে ?, এতে আপনার অনুভূতি কি ? এভাবে প্রশ্নে প্রশ্নে প্রায়শই ধর্ষিত হচ্ছে পরিবার সমাজ এমনি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি আমাদের সোনার দেশও।
ধর্ষণ চলছে ধর্ষণ চলবে,পাপ জমে জমে পাহাড়ের স্তুপে পরিণত হচ্ছে।
এমন পাপের পরিসমাপ্তি কবে হবে ? কোনদিন হবে ? কে জানে ?