বাংলাদেশ জনবহুল দেশ যার কারনে আমাদের দেশের রাস্তায় সব থেকে বড় সমস্যা হল জ্যাম। জ্যাম থেকে সহজে বের হয়ে যাওয়ার জন্য আজ কালকার মানুষেরা বাইকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। যার কারনে আমাদের দেশের মার্কেটে বাইকের চাহিদা ও বেড়ে চলছে। এক এক ধরনের মোটরসাইকেলের ফিচার, পার্ফমেন্স, মাইলেজ, পাওয়ার এক এক রকম।
কিন্তু অনেক মানুষেরা নতুন বাইক কেনার সামর্থ্য থাকেনা যার ফলে তারা পুরাতন মোটরসাইকেলের বা সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেলের ক্রয় করে থাকেন। কিন্তু পুরাতন বা সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল ক্রয় করার পর মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় কিন্তু সবাই এটা জানেনা । পাঠক, আপনি নিজেও পুরাতন বা সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল ক্রয় করে মালিকানা পরিবর্তন করার মত এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই জেনে নিন মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন করতে কি কি নিয়মাবলি বা কি করতে হয়।
মালিকানা পরিবর্তনের ফি:
আমরা যখন পুরাতন বা সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল ক্রয় করি তখন আমাদের সেই মোটরসাইকেলের কাগজ বা নম্বরপ্লেট নিজের নামে করার জন্য মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন করতে হয়। আমরা অনেকে জানিনা বাইক পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকে নাম্বারপ্লেট ছাড়া সহ কত সিসি বাইকের জন্য কত টাকা লাগে এ ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চলুন দেখে আসি কত টাকা লাগতে পারে।
মালিকানা পরিবর্তনের জন্য কোন সিসি বাইকে কত টাকা লাগে তা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
মালিকানাপরিবর্তনের ফর্ম সমূহ:
১। “ফরম-টিও”
২। “ফরম-টিটিও”
৩। “বিক্রয় রসিদ”
৪। “OWNER’S PARTICULARS/SPECIMEN SIGNATURE”
এ ফর্মগুলো ডাউনলোড করতে নিম্নে ক্লিক করুণ
Editable_Owner’s Particulars_Specimen Signature_converted (1)
আর লাগবে ১৫০ টাকা মূল্যমানের দুইটি স্ট্যাম্প যাতে গাড়ির সকল তথ্য ও ক্রেতা-বিক্রেতার সকল তথ্য দিয়ে হলফনামা লিখতে হবে।একটি ক্রেতার পক্ষে আরেকটি বিক্রেতার পক্ষে।
মালিকানা বদলীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত মালিকানা ব্যতিত):
ক্রেতার করণীয়:
১। পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত ‘টিও’ ও ‘টিটিও’ ফরম; [এ দু’টি ফরমসহ অন্যান্য ফরম এ ওয়েবসাইটের DOWNLOAD FORMS থেকে পাওয়া যাবে]
২। প্রয়োজনীয় ফি জমা দানের রশিদ;
৩। ক্রেতার TIN সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি (ভাড়ায় চালীত নহে এমন কার, জিপ, মাইক্রোবাস-এর ক্ষেত্রে)
৪। মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ (উভয় কপি)/ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
৫। ছবিসহ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ওয়ারিশগণের হলফনামা [একাধিক ওয়ারিশ থাকলে এবং একজনের নামে মালিকানা প্রদান করা হলে অন্যান্য ওয়ারিশগণ কর্তৃক স্ট্যাম্পে আর একটি হলফনামা দিতে হবে];
৬। সংশ্লিষ্ট নমুনা স্বাক্ষর ফরমে ত্রেতার নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজীতে নাম, পিতার/স্বামীর নাম, পর্ণ ঠিকানা ও 3 কপি স্ট্যাম্প আকারের রঙ্গীন ফটোসহ ফরমের অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান, তবে ক্রেতা কোন প্রতিষ্ঠান হলে, উপরে বর্ণিত কাগজপত্রসহ (হলফনামা ব্যতিত) অফিসিয়াল প্যাডে চিঠি।
বিক্রেতার করণীয়ঃ
১। ফরম ‘টিটিও’ এবং বিক্রয় রশিদে স্বাক্ষর;
২। বিক্রেতার ছবিসহ বিক্রয় হলফনামা;
৩। বিক্রেতা কোম্পানী হলে কোম্পানীর লেটার হেড প্যাডে ইন্টিমেশন, বোর্ড রেজিুলেশন ও অথরাইজেশন পত্র প্রদান;
৪। মোটরযানটি ব্যাংক অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ থাকলে দায়বদ্ধকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোদ সংক্রান্ত ছাড়পত্র সংগ্রহ করে তা দাখিল করা;
ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা বদলীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত ‘টিও’ ও ‘টিটিও’ ফরম [এ দু’টি ফরমসহ অন্যান্য ফরম এ ওয়েবসাইটের DOWNLOAD FORMS থেকে পাওয়া যাবে];
২। কোর্ট/স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ওয়ারিশ সংক্রান্ত সনদ;
৩। প্রয়োজনীয় ফি জমা দানের রশিদ;
৪। একাধিক ওয়ারিশ থাকলে প্রথম ওয়ারিশের TIN সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি (ভাড়ায় চালীত নহে এমন কার, জিপ, মাইক্রোবাস-এর ক্ষেত্রে)
৫। মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ (উভয় কপি)/ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
৬। ছবিসহ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ওয়ারিশসূত্রে মালিকানা প্রাপ্তি সংক্রান্ত ওয়ারিশগণের হলফনামা [একাধিক ওয়ারিশ থাকলে এবং একজনের নামে মালিকানা প্রদান করা হলে সেক্ষেত্রে অন্যান্য ওয়ারিশগণ কর্তৃক সকলের ছবিসহ নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আর একটি হলফনামা];
৭। নমুনা স্বাক্ষর ফর্মে নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজীতে নাম, পিতার/স্বামীর নাম, পর্ণ ঠিকানা ও তিন কপি স্ট্যাম্প আকারের রঙ্গীন ফটোসহ ফরমের অন্যান্য তথ্য পূরণ
কৃতজ্ঞতাঃ বিআরটিএ