গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। এ নিয়ে সারাদেশে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৮ জন। যাদের মধ্যে ঢাকায় ৬ জন এবং দুজন ভর্তি আছেন রাজধানীর বাইরে।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গু জ্বর হলে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠে শরীরের তাপমাত্রা। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয় ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাবে। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে র্যাশ ওঠা ও বমিও হতে পারে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূল মন্ত্র হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা কামড়াতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। ফুলদানি, ডাবের খোসা,পরিত্যক্ত টায়ার সরিয়ে ফেলা এবং ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে সে দিকেও বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সরকারি তথ্য মতে, নতুন বছরে এ পর্যন্ত ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। এর আগে ২০২০ সালে আইইডিসিআর এ ডেঙ্গু সন্দেহে ১২টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ৯টি ঘটনার পর্যালোচনা শেষে ৭টি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু বলে নিশ্চিত করে সংস্থাটি।
দেশে ২০১৯ সালে প্রাণঘাতী ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সে সময় ১৭৯ জন মারা যান বলছে সরকারি প্রতিবেদন।
এ জাতীয় আরো খবর..