কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর পৃথক পৃথক অভিযানে দাউদকান্দি থেকে ১৭ কেজি গাঁজা, সদর দক্ষিণ থেকে ১১ কেজি গাঁজা ও সদর থেকে ৬৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব সুত্র জানায়, র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল ৪ জানুয়ারি সকালে জেলার দাউদকান্দি থানাধীন টোলপ্লাজা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় একজন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়।এ সময়ে তার নিকট থেকে ১৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো জামালপুর জেলার জামালপুর সদর থানার শীলকুড়িয়া গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ লেবু মিয়া (৪২)।
পৃথক অভিযানে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল ৪ জানুয়ারি সকালে জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন ছন্দু হোটেলের সামনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে পিকআপে করে গাঁজা পরিবহনের সময় দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময়ে তাদের নিকট থেকে মোট ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলো গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর থানার চর গোবরা গ্রামের আবুল বাশার মোল্লার ছেলে মোঃ হেলাল মোল্লা (২২) ও বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার আস্তাইল খাঁপাড়া গ্রামের মোঃ আকতার আলী খন্দকারের ছেলে দিদারুল খন্দকার (২৫)। এক্ষেত্রে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত পিকআপটিও জব্দ করা হয়।
একই দিন পৃথক একটি অভিযানে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল ৪ জানুয়ারি সকালে সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ফেন্সিডিল ক্রয়-বিক্রয়ের সময় হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময়ে তার নিকট থেকে ৬৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানার পাহাড়তলী রেলস্কুল একসেন কলোনি গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ কানু মিয়ার ছেলে মোঃ কোরবান আলী (১৯)।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়ে কুমিল্লা র্যাব-১১,সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।