রাজধানীর বাংলামোটরে প্রেমের জেরে তামিম নামের এক ডিম ব্যবসায়িকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত, দুদিন পর হানপাতালে মারা যায় সে। । সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তামিম।
দুই বোনের একমাত্র ভাই ১৭ বছর বয়সী তামিম পড়াশোনা করেছেন সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। এর পর পরিবারের হাল ধরতে ডিম বিক্রি করতো সে। সংসারের একমাত্র উপার্যনকারী ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা মা চুমকি বেগম। বিলাপ করে শুধু হত্যার বিচার চাইছেন তিনি।
নিহত তামিমের চাচা মোহাম্মদ মিলন নাগরিক খবরকে বলেন, ‘গত একমাস আগে একই বাসার একটি মেয়েকে মেসেজ দেয় নিহত তামিম। সেই মেয়েকে পছন্দ করতো স্থানীয় আরেক যুবক হৃদয়। এই ঘটনার জেরে স্থানীয় ওয়াহিদ তামিমের চাচা মোহাম্মদ মিলনকে হুমকি দেয়।
হুমকি দেয়ার সময় ওয়াহিদ বলেন, “ভাতিজাকে নিয়ন্ত্রণে রাখ। না হয় লাশ হাতিরছিলে পড়ে থাকবে।” সময় সংবাদের কাছে এমটাই দাবি করেন নিহত তামিমের চাচা মোহাম্মদ মিলন। তিনি মনে করেন, তার ভাতিজাকে (নিহত তামিম) পরিকল্পিত ভাবেই হত্যা করা হয়েছে।মৃত্যুর আগে তামিম তার বন্ধুর কাছে পুরো ঘটনার বর্ণনা করেন। তামিমের সেই বন্ধুর সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। তিনি জানান, ‘রাত আনুমানিক বারোটার দিকে বিরানী কিনে বাসায় ফিরছিলেন তামিম। এ সময় বাংলামোটরে হোটেল সোনারগাঁয়ের পেছনে আসলে, সাব্বির এবং শাওন তাকে ডাকে এবং পথরোধ করে। পরে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে চিৎকার করলে তামিমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে শাওন। পরে তামিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের অপারেশন অফিসার মোঃ গোলাম আযম জানান, ‘এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত এমন দু’জনকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।’ এ ঘটনায় সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আশার কথা জানান তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..