কুমিল্লার জনপ্রিয় সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারন সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনা “জয়িতা” সম্মাননা অর্জন করেন। একজন সংগ্রামী অপ্রতিরোধ্য নারীর প্রতীকী নাম জয়িতা। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক জয়িতা। কেবল নিজের অদম্য ইচ্ছাকে সম্বল করে চরম প্রতিকূলতাকে জয় করে জয়িতারা তৃণমূল থেকে সেবার লক্ষ্যে সমাজে নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছেন। সরকারের মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর এই জয়িতাদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগটির নাম ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’।
জয়িতাদের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে—১. অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী; ২. শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী; ৩. সফল জননী নারী; ৪. নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন যে নারী; ৫. সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারী।পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগভিত্তিক জয়িতা বাছাই কাজটি পরিচালিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বাছাইয়ের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।
কুমিল্লা অঞ্চল থেকে সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য জাগ্রত মানবিকতা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক তাহ্সিন বাহার সূচনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের জেলা কর্মকর্তারা।
জয়িতা সম্মাননা অর্জনের বিষয়ে তাহসিন বাহার সূচনা তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, যারা আমার সাথে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও আমার পাশে ছিলেন, সাহায্য করেছেন ও উৎসাহ যুগিয়েছেন তাদের অনুপ্রেরণায় আজকে আমার জয়িতা সম্মাননা প্রাপ্তি। আমি ডেডিকেট করতে চাই ঐ সকল নারীদের- যারা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা ও সংগ্রাম করে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আর্তমানবতার সেবাই আমাদের ধর্ম। আমি স্বপ্ন দেখি একটি সুখী, সুন্দর সমাজের। আমি বিশ্বাস করি, ভালো কাজ করার জন্য প্রচুর অর্থ নয় বরং প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল থাকা প্রয়োজন।তিনি বলেন আজকের জয়িতা অর্জনের সম্মান ও স্বীকৃতি আমি আমার সংগঠন জাগ্রত মানবিকতা ও কুমিল্লার মানুষকে উৎসর্গ করলাম।