ভাল কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচারের শিকার বাংলাদেশি আট নারীকে উদ্ধারের তিন বছর পর ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
ফেরত আসা নারীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে রাইটস যশোর ও জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে দুটি এনজিও তাদেরকে পুলিশের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে আইনি সহায়তা দেয়।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটে তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা নারীরা হলেন, খাগড়াছড়ির সীমা কামাল মোল্লা, যশোরের মাজেদা মন্ডোল, সালমা ও হাজিরা খাতুন, নারাণগঞ্জের আখি, চুয়াডাঙ্গার রানী শেখ, পটুয়াখালীর রেখা বেগম ও মাগুরার রিয়া শেখ।
ফেরত আসা কিশোরী খাগড়াছড়ির সিমা কামাল মোল্লা জানায়, সে প্রতিবেশির বাড়িতে কাজ করতেন। একজন তাকে শহরে ভাল কাজের কথা বলে নিয়ে যায়। পরে ভারতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে জানতে পারে পাচার হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের পুলিশ পরিদর্শক মহাসিন উদ্দীন জানান, ফেরত আসা নারীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়। পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জাস্টিস এন্ড কেয়ারের যশোর শাখার প্রোগ্রামার অফিসার এবিএম মুহিত হোসেন জানান, সংসারে অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে পাচারকারী ভাল কাজের প্রলোভনে এসব নারীদেরকে ভারতে পাচার করে। পরে সেখানে নিয়ে বিভিন্ন ঝুঁকিমুলক কাজে ব্যবহার করে। খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে বোম্বায়ের রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও সংস্থার হেফাজতে দেয়। পরে নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে ফেরার অনুমতি দিলে ট্রাভেল পারমিটে ফিরে আসে। ফেরত আসা নারীরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চায় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।