সাইকেলে চড়ে আদালতে আসবেন এমনটা জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি আশরাফুল কামাল। সাইকেলের জন্য সড়কে আলাদা লেন চালু করতে সরকারের প্রতি অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আহবান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনের দক্ষিণ পাশে সাইকেল সেড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আশরাফুল কামাল বলেন, সাইকেল একটি পরিবেশ বান্ধব বাহন। এতে কোনো তেল খরচ হয় না। আমি নিজেও সাইকেলে কোর্টে আসতে চাই। চেষ্টা করছি শিগগিরই আমি একটা সাইকেল কিনে বাসা থেকে কোর্টে আসবো। আমরা মাঝে মাঝেই আসতে পারি, তাতে অসুবিধা কী? এতে সরকারের জ্বালানি খরচ বাঁচবে, পরিবেশ সুন্দর হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বাসা থেকে একশ গাড়ি নিয়ে যখন কোর্টে আসি তখন কিন্তু একটা যানজটেরও সৃষ্টি হয়। যেটা সামলানোও সাংঘাতিক।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের পরিস্থিতির আলোকে সাইকেলই নিরাপদ বাহন। নিয়মিত সাইকেল চালালে ডায়াবেটিস ও হাইপ্রেসার কমে যাওয়ার পাশাপাশি অসুখ-বিসুখও কম হবে বলেও মনে করেন তিনি। বিচারপতি আশরাফুল কামাল বলেন, তাহলে কেন আমরা এটা করতে পারি না। নারীদের জন্য সাইকেল অফিস যাত্রা আরও নিরাপদ এবং স্বাধীন বলেও মনে করেন এই বিচারপতি।
এসময় তিনি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনের মাধ্যমে সরকারকে আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা সাইকেলের জন্য আলাদা লেন চাই। সারা পৃথিবীতে আছে।
সুপ্রিমকোর্ট যেটা করে সেটা বাংলাদেশ অনুসরণ করে। মানুষ সেটা গুরুত্বসহকারে পালন করে। এ কারনে সাইকেলিংয়ের এ উদ্যোগকে চালিয়ে নিতে বারের সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আমি এখনই সড়ক পরিবহন সচিবকে অনুরোধ করবো। কম করে হলেও ঢাকা শহরে সড়কগুলোর কিছু সড়কে যেন আলাদা সাইকেলের জন্য লেন করেন। আশা করি এটা করা যাবে। সাইকেলিংয়ের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি থেকে করা হবে বলেও জানান তিনি।
‘দূষিত না করাই একমাত্র সমাধান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সুপ্রিমকোর্টের তরুণ আইনজীবীরা কাউন্সেল অন সাইকেল নামে একটি গঠনের যাত্রা শুরু করে। তাদের জন্য সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ পাশে একটি সাইকেল শেড তৈরি করে দেয়।
আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..