পরকীয়া দেখে ফেলায় দিনের পর দিন নির্যাতন করা হয় গৃহকর্মী সাদিয়াকে। শেরপুরের শ্রীবরদী আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবীব শাকিলের স্ত্রী ঝুমুরের নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী শিশু সাদিয়া শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ময়মনসিংহ মেডিকেলে মারা যান। হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান স্বজনরা। পুলিশ জানায়, জেলে থাকা গৃহকর্ত্রীর বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক সাদিয়ার বাবা মা
লাশঘরে পড়ে আছে মেয়ের লাশ। বাইরে অসহায় বাবা-মা। এক মাস হাসপাতালে শয্যার পাশে বসে থেকেও প্রিয় সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি তারা। বাবা-মা আর চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে ১০ বছরের সাদিয়া।
স্বজনদের অভিযোগ, শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ হোসেন খোকার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব শাকিলের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বাসায় আসা-যাওয়া ছিল ওই পরকীয়া প্রেমিকের। হঠাৎ একদিন তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে গৃহকর্মী শিশু সাদিয়া। এরপরই সাদিয়ার ওপর নেমে আসে শাকিলের স্ত্রী ঝুমুরের বর্বর নির্যাতন।
এক প্রতিবেশী ট্রিপল নাইনে কল করলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বিকেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি দাবি করেন বাবা-মা।নিহতের বাবা বলেন, ‘ওই মহিলার পরকীয়া ছিল। আমার মেয়ে দেখে ফেলায় পেটে লাথি মেরেছে সারা শরীরে নির্যাতন করেছে। নিহত শিশুটির মা বলেন, পরপুরুষের সঙ্গে খারাপ অবস্থায় সাদিয়া দেখছে তার জামাইরে কইয়ে দেবে বলে মারছে মেয়ে হত্যার বিচার চাই ।
শেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলায় ঝুমুরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..