কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় এক কিশোরীকে অপহরণের পর পাঁচদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে কিশোরীর মাথার চুল কেটে নির্যাতন করেছেন ধর্ষকের মা।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়। এরপর চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ শোভারামপুর নোয়াপাড়া গ্রামের কিশোরীকে ১২ অক্টোবর সকালে অপহরণ করা হয়। দয়ারামপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সামিউল ওরফে বাছির তার বন্ধু হৃদয় কিশোরীকে অপহরণ করেন। পরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়নের আড়াইওরা গ্রামের ভাড়া বাসায় আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বাছির।
শনিবার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে দয়ারামপুরে নিয়ে যান বাছির। খবর পেয়ে কিশোরীর বাবা-মা ও স্বজনরা ছুটে আসেন।সেখানে বাছিরের মা লিপি আক্তার ও অন্যরা কিশোরীকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেন। এ সময় কিশোরীর স্বজনদেরও লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে বুড়িচং থানায় বাছির ও তার বন্ধু বরুড়া উপজেলার মুশকিপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে হৃদয়, বুড়িচংয়ের দয়ারামপুর গ্রামের মো. রানা ও বাছিরের মা লিপি আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন কিশোরী।বুড়িচং থানা পুলিশের ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, মামলার আসামি সামিউল বাছির, হৃদয়, রানা ও লিপি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার তাদের তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।সুত্র:জাগো নিউজ