1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় ডি‌বির পৃথক অ‌ভিযা‌নে ইয়াবা ফে‌ন্সি‌ডিল আটক ৩ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত – এম সাখাওয়াত হোসেন দে‌শের প্রয়োজ‌নে বিএনসিসির সদস্যরা বিশাল শক্তি হিসেবে কাজ কর‌বে – সেনাপ্রধান কু‌মিল্লায় সাংবা‌দিক‌দের সা‌থে পু‌লিশ সুপা‌রের মত‌বি‌নিময় নারায়নগন্জ মহানগর বিএনপির র‍্যালিতে কৃষক দলের অংশগ্রহন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগ‌ঞ্জে বিএন‌পির র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

সব ঠিক থাকলে ৬ মাসের মধ্যে বাজারে চলে আসতে পারে দেশীয় প্রতিষ্টান গ্লোব বায়োটেকের টিকা

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩০২ বার পঠিত

বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করা তিনটি ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য এটাও জানিয়েছে যে, নভেল করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যেই এই ল্যান্ডস্কেপ ডকুমেন্টটি তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট একটি পণ্যের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া বোঝায় না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ল্যান্ডস্কেপ ডকুমেন্টে ক্লিনিক্যাল ইভালুয়েশনের তালিকায় মোট ৪২টি এবং প্রি-ক্লিনিক্যাল ইভালুয়েশনের তালিকায় ১৫৬টি ভ্যাকসিনের নাম রয়েছে।

প্রি-ক্লিনিক্যাল ইভালুয়েশনের তালিকায় তিনটি ভ্যাকসিন স্থান পেয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তৈরি করছে। এগুলো হলো DNA plasmid vaccine , Adenovirus Type 5 Vector , D614G variant LNP-encapsulated mRNA ।গত ৮ই মার্চ থেকে তারা এই টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে এর মধ্যে D614G variant LNP-encapsulated mRNA ভ্যাকসিনটির উন্নয়নের কাজ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে।

কীভাবে শুরু হলো?

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এই রোগটির জন্য ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করতে শুরু করে গ্লোব বায়োটেক।

তখন আন্তর্জাতিকভাবে যেসব জেনোম সিকোয়েন্স ছিল, সেগুলো বিশ্লেষণ করে একটি বিশেষ ধরনের মিউটেশনের খোঁজ পান গ্লোব বায়োটেকের বিজ্ঞানীরা। এই মিউটেশনটি হলো D614G ।তখন এই মিউটেশনের সংখ্যা খুবই কম ছিল বলে জানান গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ।

তিনি বলেন, ওই সময়ে তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই জেনোম মিউটেশনটি ভবিষ্যতে মারাত্মক প্রভাব তৈরি করবে। তখন তারা এটি নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।

“ওই সময়ে আসলে কেউ ধারণা করতে পারেনি যে এই স্ট্রেইনটি সারা বিশ্বে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে,” বলেন তিনি।গ্লোব বায়োটেক বলছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে যতগুলো স্ট্রেইন আছে তার মধ্যে D614Gটি ১০ গুণ বেশি সংক্রামক এবং এর বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কেউ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট বানায়নি।

 

কোন পর্যায়ে আছে?

তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের মধ্যে উন্নয়নের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে এলএনপি ভিত্তিক D614G variant LNP-encapsulated mRNA ক্যান্ডিডেটটি। মূলত এটির প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে।

গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি এন্ড রেগুলেটরি অপারেশনের ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এই ভ্যাকসিনটির তিনটি ক্যান্ডিডেটের মধ্যে একটির প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি চলছে।

এ নিয়ে গত ১৪ই অক্টোবর আইসিডিডিআরবির সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। তারাই এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটি পরিচালনা করবে।বর্তমানে আইসিডিডিআরবির প্রটোকল ডেভেলপমেন্ট রিভিউ নিয়ে কাজ করছে।তিনি বলেন, তাদের নিজস্ব কিছু ব্যবস্থা আছে যা তারা অনুসরণ করে কাজ করছেন।

মি. মহিউদ্দিন জানান, আইসিডিডিআরবি দ্রুততার সাথে এবিষয়ে একটি আবেদন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি’কে জমা দেবে।বাকি দুটো স্ট্রেইন এখনো প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।

কিভাবে কাজ করবে ব্যানকোভিড ভ্যাকসিন?

এ বিষয়ে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ বলেন, ব্যানকোভিড ভ্যাকসিন যখন মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে তখন এর এমআরএনএ নামে মলিকিউলটি দেহের নির্দিষ্ট কিছু কোষে প্রবেশ করবে।এই মলিকিউলটি কোভিড-১৯ ভাইরাস সার্স-কোভ-২- তার স্পাইক প্রোটিনের সান্নিধ্যে আসবে।এই স্পাইক প্রোটিনটি তখন অ্যান্টিজেন হিসেবে কাজ করবে এবং পরবর্তীতে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।

মি. নাগ বলেন, টিকা দেয়া হলে শরীরে এই অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া এবং এর মেমোরি সেল ও টি-সেল তৈরি হয়ে যাবে। ফলে ওই ব্যক্তি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই অ্যান্টিবডি সেটি শনাক্ত করতে পারবে এবং দ্রুত তারা সেটি দেহ থেকে সরিয়ে দেবে।তখন আর এই জীবাণুটি মানুষকে রোগাক্রান্ত করতে পারবে না বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com