কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় একটি প্রাইভেটকারের ভেতরে তল্লাশি করে দুটি ব্যাগে থাকা এক কোটি ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করে থানা পুলিশ।উদ্ধারকৃত টাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) দিনভর জেলা পুলিশ, সিআইডিসহ গোয়েন্দা সংস্থার বেশ দৌড়ঝাঁপ ছিল। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এত টাকার মালিক কে, একসঙ্গে এত টাকা কোথায় পেলেন তারা- এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা রহস্য।গ্রেফতারকৃতরা উদ্ধারকৃত টাকা স্বর্ণ বিক্রির বলে দাবি করেছেন। তবে পুলিশের দাবি, স্বর্ণ বিক্রি সংক্রান্ত বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তাদের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের শ্রীরায়েরচর সড়কের কয়রাপুর লোহার সেতু এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ। এ সময় টহল দল একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক দেখে আটক করে। এরপর প্রাইভেটকারের আরোহীদের নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে দুটি ব্যাগ দেখতে পায়।
ব্যাগে কি আছে পুলিশ জানতে চাইলে তারা বলেন ব্যাগে স্বর্ণ বিক্রির টাকা রয়েছে। প্রাইভেটকারে তল্লাশি শুরু করলে দুটি ব্যাগের মধ্যে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা আছে বলে তারা পুলিশকে জানান।তবে এ সময় স্বর্ণ বিক্রির কোনো রশিদ বা কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এএসআই মো. মোশাররফ হোসেন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ওসিকে জানান। পরে ওসির নির্দেশে টহল দল প্রাইভেটকারসহ তাদের থানায় নিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোপাটি গ্রামের কানুলাল কর্মকারের ছেলে তমাল কর্মকার (২৫), একই গ্রামের মৃত চন্দন কর্মকারের ছেলে অন্তু কর্মকার, চাঁদপুর সদর উপজেলার পশ্চিম বিঘনদী গ্রামের মৃত শুকুর বেপারীর ছেলে প্রাইভেটকারচালক সেলিম বেপারী এবং চাঁদপুর সদর উপজেলার গোল্ডেন টাওয়ার মহিলা কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা সম্ভুনাথ কর্মকারের ছেলে সুকদেব কর্মকার।
দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান উদ্ধারকৃত এক কোটি ৬০ লাখ টাকার মালিক তারা। ঢাকায় স্বর্ণ বিক্রি করে এসব টাকা নিয়ে তারা চাঁদপুরে যাচ্ছিলেন। তবে তারা স্বর্ণ বিক্রির কোনো রশিদ কিংবা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই টাকাগুলো কার, কোথায় থেকে এসেছে, মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত কি-না এসব ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি মানিলন্ডারিং বলে প্রতীয়মান হওয়ায় সিআইডিকে বিষয়টি জানানো হয়। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা সিআইডি তদন্ত করছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলার কাগজপত্র সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।