1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় ডি‌বির পৃথক অ‌ভিযা‌নে ইয়াবা ফে‌ন্সি‌ডিল আটক ৩ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত – এম সাখাওয়াত হোসেন দে‌শের প্রয়োজ‌নে বিএনসিসির সদস্যরা বিশাল শক্তি হিসেবে কাজ কর‌বে – সেনাপ্রধান কু‌মিল্লায় সাংবা‌দিক‌দের সা‌থে পু‌লিশ সুপা‌রের মত‌বি‌নিময় নারায়নগন্জ মহানগর বিএনপির র‍্যালিতে কৃষক দলের অংশগ্রহন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগ‌ঞ্জে বিএন‌পির র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

রাজশাহী‌তে অসহায় দুই ক‌লেজ ছা‌ত্রের পা‌শে দাঁড়া‌লেন এসআই উত্তম

রাজশাহী প্রতি‌নি‌ধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩৫৯ বার পঠিত

রাজশাহী কলেজের অসহায় ও মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছেন নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার রায়। তাদের প্রত্যেকের পোশাক ও বই কেনার জন্য নগদ অর্থসহায়তা দিয়েছেন এসআই উত্তম।মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুল খালেকের দফতরে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিপন হোসেনের হাতে সহায়তার অর্থ তুলে দেন এসআই উত্তম।

এরপর আরেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রনির হাতেও এসআই উত্তমের সহায়তার নগদ অর্থ তুলে দেন কলেজের অধ্যক্ষ মহা. হবিবুর রহমান ও উপাধ্যক্ষ আবদুল খালেক।রিপন হোসেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের আন্দারিয়াপাড়ার জয়বুল হোসেন বাদশার ছেলে। একই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের অনাথ শিমলা এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে রনি।

দীর্ঘদিন ধরে রনির বাবা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন। স্বামী-সংসার নিয়ে চিন্তায় ভারসাম্য হারিয়েছেন তার মা রহিমা বিবিও।এদিকে রিপনের বাবা থেকেও নেই। তিন বছর বয়সে মা জুলেখা খাতুনসহ রিপনকে ফেলে যান বাবা। দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় বাস করছেন রিপনের বাবা। রিপনকে নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন মা জুলেখা খাতুন।রিপন গত বছর এবং রনি এ বছর স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পান করেন। এবার রাজশাহী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়ে অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছিলেন না তারা। গত বছরও একই কারণে ভর্তি অনিশ্চিত হয়েছিল তাদের।

অসহায় এই দুই মেধাবীর খবরে চোখ আটকে যায় দেশ-বিদেশের বহু মানবিক মানুষের। অনেকে সহায়তায় এগিয়ে আসার আশ্বাস দিয়েছেন।

এমন একজন নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের এসআই উত্তম কুমার রায়। ইউনিফর্ম ও বই কেনা বাবদ দুজনকে নগদ অর্থসহায়তা দিয়েছেন তিনি। আগামীতেও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এসআই উত্তম।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা এসআই উত্তম কুমার রায় পুলিশে কর্মরত প্রায় ১৪ বছর ধরে। দীর্ঘসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বহু মানবিক কাজেও অংশ নিয়েছেন উত্তম।

রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন উত্তম। এছাড়া রাজশাহীতে চিকিৎসার জন্য আসামি ও দুস্থ রোগীদের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দেন এই মানবিক পুলিশ সদস্য। কারও অসহায় অবস্থার খবর পেলেই সহায়তা নিয়ে পৌঁছে যান তিনি।

এসআই উত্তম কুমার রায়ের মানবিক কাজের প্রশংসা করেন রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুল খালেক। তিনি বলেন, এমন মানবিক মানুষ আছে বলেই অসহায় মানুষগুলো জীবনের মানে খুঁজে পান।

রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মহা. হবিবুর রহমান বলেন, অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে সব কলেজকে। এটা সবার দায়িত্ব, সমাজের দায়িত্ব। অর্থের অভাবে কেউ যেন সমাজ ও দেশের বোঝা না হয়ে যায়- সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com