বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে আটকা পড়েছেন আনুমানিক ৩৫০ জন পর্যটক। নিত্যপণ্যের সংকটের কারণে দ্বীপের হোটেলগুলোতে পছন্দসই খাবারও মিলছে না। ফলে কোনো রকম ডাল-ভাত খেয়ে থাকতে হচ্ছে আটকে পড়া পর্যটকদের।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় কক্সবাজার উপকূলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করে আবহাওয়ার অধিদপ্তর। যা বৃহস্পতিবারও বলবৎ রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চলতি মাসের ২ অক্টোবর যারা সেন্টমার্টিন বেড়াতে এসেছেন সবাই এখন ডাল-ভাত আর আলুভর্তা খেয়েই সময় কাটাছেন।
এ বিষয়ে জাহিদুর রহমান বলেন, “গত রাতে ডাল, আলুভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছি। শিশুরা এসব খাবার খেতে চাচ্ছে না।
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সেলিম হোসেন বলেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর পর্যন্ত সতর্কসংকেত বলবৎ থাকায় পর্যটকবাহী জাহাজ টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসেনি। তাই আটকে পড়া পর্যটকদের আজও দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।
জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্পিডবোট উল্টে একজন সাবেক নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মারা যান। এরপর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে কোস্টগার্ড সার্ভিস ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে ছয় দিন ধরে টেকনাফ থেকে কোনো ধরনের পণ্যবাহী ট্রলার সেন্টমার্টিনে আসেনি। এজন্য দ্বীপে নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, “দ্বীপে তরিতরকারি, ডিম, বয়লার মুরগি নেই। কিছু দোকানে আলু, চাল ও ডাল রয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরাও বন্ধ। দ্বীপের বাসিন্দা, হোটেল-রিসোর্টগুলোর কর্মচারীসহ প্রায় ১২ হাজারের মতো মানুষ রয়েছেন। নিত্যপণ্যের সংকটের কারণে তারাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় চাল, ডাল, ডিম, বয়লার মুরগি, আলু, পেঁয়াজ, তেল, তরকারি, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তিনটি ট্রলার ভর্তি করেছেন শ্রমিকরা। আবহাওয়া ভালো থাকলে টেকনাফ থেকে ট্রলারগুলো আজই সেন্টমার্টিনে যাবে।