কুমিল্লা জগন্নাথপুর এলাকা থেকে অপহৃত ১১ বছরের শিশু রিহান হত্যার তিন ঘাতককে গ্রেফতার করে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা।
র্যাব সুত্র জানায়, চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আনুমানিক বারটার সময় স্কুলে যাওয়ার পথে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন জগন্নাথপুর এলাকা থেকে শিশু রিহান (১১) নিখোঁজ হয়। একই দিন আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার সময় নরসিংদী জেলার রায়পুরা
থানাধীন খাইল্লারচর এলাকায় মেঘনা নদীতে মুমূর্ষ অবস্থায় শিশু রিহানকে ভাসমান অবস্য়থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মৃত্যু বরণ করে।
ভিকটিমের পরিবার সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রিহানের মৃত্যুর বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের লাশ সনাক্ত করে। ভিকটিম রিহানের বাবা মোঃ শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে তিনজন আসামীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলা নং- ১৬, তারিখ-১৩/০৯/২০২৩ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ধারা-৭, তৎসহ দন্ডবিধি এর ধারা- ৩০২/২০১/৩৪।
মর্মান্তিক ঘটনাটি জানার পর র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা ছায়াতদন্ত শুরু করে ও হত্যা মামলার
আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করে গতকাল বৃহ:পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে এগাটার সময় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মনিরুল আলমের নির্দেশক্রমে একটি গোয়েন্দা টিম অভিযান চালিয়ে রিহান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামী ইমরান (২৮), পিতা- সুজন,সাং- সুজানগর, থানা- কোতয়ালী মডেল, মোস্তফা (৩২) ও রুবেল (২৫) উভয় পিতা- মৃত খালেক মিয়া সাং- জগন্নাথপুর, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লাদেরকে সদরের জগন্নাথপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় ভিকটিম রিহান (১১) বাসা হতে স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হলে বেড়াতে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসামী ইমরান অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় ভিকটিম রিহান’কে
অপহরণ করে নিয়ে যায়। অতঃপর হত্যা ও লাশ গুম এর উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম রিহানের
শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে নরসিংদী জেলার ভৈরব ব্রীজের উপর হতে ফেলে দেয়।
ধৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে র্যাব ১১ সিপিসি ২ ।