কুমিল্লা সদর দক্ষিণের মধ্যম বিজয়পুরে গণপিটুনিতে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। সে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর এলাকার বাসিন্দা। তাৎক্ষণিক নিহত ডাকাতের নাম জানা যায়নি।
সূত্রে জানা যায়,কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের মধ্যম বিজয়পুর,নোয়াপাড়া,উত্তর বিজয়পুর,মেইলগেইট সহ আশপাশের গ্রামে গত দুই সপ্তাহ যাবত একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ডাকাত দলের হাত থেকে রক্ষা পেতে গত কয়েকদিন যাবত রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে স্থানীয়রা। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মধ্যম বিজয়পুর ইয়া খান এর বাড়িতে ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল প্রবেশ করে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দল বাড়িতে প্রবেশ করার বিষয়ে টের পেয়ে বাড়ির মালিক ইয়া খান চিৎকার দিলে আশপাশের বাড়ির লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে ডাকাত দল কে ধাওয়া করলে বিভিন্ন প্রকার দেশি ও বিদেশি অস্ত্র প্রদর্শন করে কৌশলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় এদের মধ্যে এক ডাকাত ছেনি ও চুরি সহ জনতার হাতে আটক হয়। মধ্যম বিজয়পুরে ডাকাত আটক হওয়ার বিষয়টি আশপাশের গ্রামে জানাজানি হলে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।আটককৃত ডাকাত সোমবার সকালে গণপিটুনিতে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে গণপিটুনিতে নিহত ডাকাত জনতার হাতে আটকের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র তথ্য অনুযায়ী,একই ইউনিয়নের লালমাই পাহাড় ঘেষা ধনমুড়ার লিটনের নেতৃত্বে শরিফ,রানা,মাসুম ও হোসেনপুর গ্রামের রাব্বি সহ ১১ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মহিন উদ্দিন বলেন,একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় মধ্যম বিজয়পুর সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। রাত জেগে পাহাড়া দিয়ে এক ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হয়েছে স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে ১নং বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা জানান, মূলত ডাকাতদল কর্তৃক মহিলাদের বেঁধে মারধর করা সহ একের পর এক ডাকাতির ঘটনা সংঘঠিত হওয়ায় স্থানীয় জনতার ক্ষোভের বশত গণপিটুনিতে ডাকাতের মৃত্যু হয়। ডাকাতদলের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, গণপিটুনিতে নিহত ডাকাতকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।