প্রতিটি দিনই কন্যার জন্য।প্রতিটি মুহূর্ত প্রয়োজন কন্যার নিরাপত্তা।আমাদের কন্যাদের জন্য চাই বাস যোগ্য সুস্থ ও সুন্দর পৃথিবী।প্রত্যেকটা বাবা মা যেন তার কন্যা সন্তানকে কলিজাই আগলে রেখে তার জীবনের বট বৃক্ষ হয়ে থাকতে পারে।তবেই আমাদের কন্যারা তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে পারবে!সব বাবা মা তার কন্যার জন্য যেন সামনের দিন গুলোতে আরো কঠিন বলয় সৃষ্টি করে তাকে লালন করে ,তার জন্য আমার এই প্রয়াস……..
” ধর্ষিত ধরণী”
নিষ্পাপ একটি প্রাণ তার,আর কোমল দেহখানা,
চোখ দুটো যেন ছলছল করে বলে যায় নানা বায়না!
মা মা করে ডেকে যায় সে সকাল দুপুর রাত,
সে ডাকের মাঝেই যেন জুড়ে আছে মায়ের বেঁচে থাকার স্বাদ।
দুষ্টামি আর খেলায় খেলায় আলতো পায়ে সে হেঁটে যায়,
চারদিক ঘুরে ফিরে সে মায়ের আঁচল খুঁজে বেড়ায়!
দৌড়ে এসে মা কোলে করে নিয়ে কলিজায় দেয় ঠাঁই,
কে জানে এই ধরার নিয়ম!! বুঝা যে বড় দায়!
সোনামনিকে আগলে রাখায় কোনো হেয়ালি তো চলেনা,
নিজের দিকে তাকানোর ও সময় যেন মেলেনা!
হঠাৎ কোনো এক শান্ত প্রহরে!!!
মায়ের বেষ্টনী ও চোঁখের আড়ালে,
খেলায় মেতে থাকা পুতুলকে কে চকলেট দেখিয়ে ইশারায় ডাকে,
চকলেটের স্বাদ যে এমন তেঁতো হয়, কেউতো বুঝায়নি আগে তাকে।
এসো বাবু কোলে এসো আমার,দেখাবো তোমায় ঘোড়া হাতি,
মনে মনে যেন আবার বলে সে, এসো এবার আনন্দে মাতি!
মনের যতো লালসা সব তোকে দিয়েই মেটাই,
নির্বাক শিশু পারবেনা বলতে আমি যে কেমন কসাই!
খুঁজে না পেয়ে সোনামনিকে মা চিৎকার করে যায়,
লক্ষী মা আমার, তোর কোমল দেহ নিয়ে মায়ের কোলে ফিরে আয়!
কোথা থেকে যেন চিৎকার আসে এতো নিঠুর কেন এ স্পর্শ!?
আম্মু আমার কতো যতন করে আগলে রাখে এ দেহ।
বাবা তার রাজকুমারী বলে আমায় ডাকে,
তোমাকেও যে দেখতে আমার বাবার মতোই লাগে!
তবু কেন তোমাতে বলো এমন হিংস্রতা জাগে?
তোমার পিতৃত্ব ও কাঁদাবে তোমায় মরণের আগে।
এ কেমন চাহনি আর এ কেমন পৈশাচিক বর্বরতা!?
একটি জাতিকে ধ্বংস করার এ কেমন নিঠুরতা!?
ওরে পিশাচ, ওরে হায়েনা তুই পৈশাচিক আনন্দ তো মেটালি !
একটি কোমল প্রাণের সাথে তুই ধরণীকেও ধর্ষণ করলি!
যে লালসা মেটাতে গিয়ে আকাশে বাতাসে ছড়ালি দুর্গন্ধ,
ছায়া হয়ে তোর পেছনে থাকবে তোর পাপ আর মন্দ!
ভোগে আর ভোগে মাতোয়ারা হয়ে ভাবলি বুঝি গেলি বেঁচে!
নিজের নিঃশ্বাসে ও তুই দুর্গন্ধ পাবি ধর্ষিত এই পৃথিবীতে!
নূরে রেজওয়ানা দোয়েল
প্রভাষক, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ