পাবনার সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ (৫০)কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুষ্কৃতিকারিরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে।
হারুন অর রশিদ উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের খ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। আহতকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। থানা পুলিশ এ ঘটনায় ৫টি হাঁসুয়া,কিছু বাঁশের লাঠি উদ্ধারসহ ১৩ জনকে আটক করেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়,শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা হারুণ অর রশিদ বাড়ি থেকে একটি ভ্যানযোগে সোনাতলা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ইছামতি নদীর বটতলা আবুল বাজারে পৌঁছামাত্রই দুষ্কৃতিকারিরা হারুণ অর রশিদকে ভ্যান থেকে নামিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।খবর পেয়ে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এঘটনায় এলাকায় উত্তোজনার সৃষ্টি হলে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ৫টি হাঁসুয়া,কিছু বাঁশের লাঠি উদ্ধারসহ ১৩ জনকে আটক করে। এ খবর লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহত হারুন অর রশিদের ভাই জুয়েল জানান,আমার ভাইকে নাগডেমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রাহমান এর লোকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।এ ব্যাপারে নাগডেমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রাহমান জানান,মারপিটের ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। মারপিটের বিষয়টি আমি জানতাম না।পরে শুনেছি। সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ আগামি নির্বাচনে আমাকে প্রতিহত করতে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে এবং তার লোকজন দ্বারা আমার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)রফিকুল ইসলাম জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্নস্থানে তল্লাসি চালিয়ে ৫টি হাঁসুয়া,কিছু বাঁশের লাঠি উদ্ধারসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।