আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস (রবিবার, ১১ জুন) উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এতে নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বাদ আছর আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করে যুবলীগ। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এ আয়োজনে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের কারণেই ১/১১ সৃষ্টি হয়েছিল। সেনাসমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও বানোয়াট মামলা দেখিয়ে গ্রেফতার করেছিল। যে মানুষটি সারা জীবন মানুষের অধিকারের জন্য, ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করলেন, সেই মানুষটিকেই গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তির জন্য সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই আমরা সেদিন নেত্রীকে মুক্ত করেছিলাম। এই ১১ জুন কারাগার থেকে কেবল শেখ হাসিনাই মুক্তি পাননি, দেশের গণতন্ত্রও মুক্তি পেয়েছিল। এই দিনটি অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রা।’
রবিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ। সভা সঞ্চলনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অংশ নেন এবং তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বাদ মাগরিব কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মিলনায়তনে এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। এতে অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ধানমন্ডির ‘সুধা সদন’ থেকে গ্রেফতার করা হন। তৎকালীন সংসদের বিরোধী দলীয় এই নেতা দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মুক্তি পেয়েই চিকিৎসার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ীভাবে তাকে জামিন দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।