কুমিল্লার চান্দিনায় র্যাব পরিচয়দানকারী ৩ প্রতারককে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। সোমবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকা থেকে ধাওয়া করে চান্দিনা উপজেলার বেলাশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
পরদিন মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে তাদেরকে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- নাটোর জেলার সিংড়া থানার ডাকমন্ডপ গ্রামের আল আমিন এর ছেলে শাহারিয়া (৩০), যশোর জেলার সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমান এর ছেলে মো. মনির (৪৭) ও ভোলা জেলার তজমুদ্দিন থানার লামছি শম্ভুপুর গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. ইউনুছ প্রকাশ ইউসুফ মিয়া (৫৪)।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি, এক জোড়া হাতকড়া, একটি খেলনা পিস্তল, র্যাবের ২টি জেকেট উদ্ধার করে এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-২০-৬৯১৮) জব্দ করে। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার বিকাল মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের একটি বাসের কাগজপত্র যাচাই কালে বাসের ভিতরে শাহারিয়া নামের এক যাত্রী বাস থেকে দ্রæত নেমে যাওয়ার সময় বিষয়টি সন্দেহ হয়। এসময় পুলিশ তার ব্যাগ তল্লাসী করে র্যাবের জেকেটসহ ওয়াকিটকি, হাতকড়া ও খেলা পিস্তল পায়। এসময় তাকে বিজ্ঞাসা করলে ওই যাত্রীবাহী প্রতারক চক্রের সদস্য শাহারিয়া জানায়, ‘তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। মহাসড়কের চলাচলরত যাত্রীদের র্যাব সদস্য পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ করে। ওই চক্রের বাকি সদস্যরা প্রাইভেটকার যোগে নিমসার থেকে ঢাকার দিকে রওয়ানা হয়েছে’।
পুলিশ এ তথ্য পেয়ে ছয়ঘড়িয়া এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে ওই প্রাইভেটকারের গতিরোধে সিগনাল দিলে তারা সিগনাল অমান্য করে দ্রুত স্থান ত্যাগের চেষ্টা করে। এসময় পুলিশও তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের প্রাইভেটকারটি মাধাইয়া বাস স্টেশন এলাকা হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে না ছুটে ইউ টার্ণ করে আবারও চান্দিনার দিকে ছুটে যায়। এক পর্যায়ে তারা বেলাশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ি রেখে পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশ প্রতারক মনির ও ইউসুফ মিয়াকে আটক করে। বাকি একজন পালিয়ে যায়।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের স্বার্থে তাৎক্ষনিক প্রকাশ করিনি। ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।