কুমিল্লার গোমতী ও পুরান গোমতী নদীর দখল, দূষণ বন্ধসহ নদীর যথাযথ সংস্কার ও উন্নয়ন এবং সকল দখলদার ও পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা আঞ্চলিক শাখা। গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর আর্ন্তজাতিক নদী দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ পরিচালকের সঙ্গে বাপা নেতৃবৃন্দের মতবিনিয়মের সময় কুমিল্লার নদী, পুকুরের সংরক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে ১১ দফা প্রস্তাব জানানো হয়।
এসময় বাপা নেতৃবৃন্দ বলেন, গোমতী নদী ও পুরান গোমতী নদী এখন এক চরম অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে রয়েছেyf। গত কয়েক দশকে নদীর রক্ষায় কর্তৃপক্ষের সীমাহীন অযতœ, অবহেলা এবং এক শ্রেণির সুবিধাবাদির চক্রের অব্যাহত দখল, লুন্ঠনের কারণে প্রকৃতির এই অন্যন্য অসাধারণ সৃষ্টির সবকিছুই দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে বাপা কুমিল্লা শাখার সভাপতি প্রফেসর ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেয়, বাপা সহসভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, রোকেয়া বেগম শেফালি, সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, সংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা এমরান, সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক, পরিবেশ অধিদপ্তেরর পরির্দশক মোঃ নজরুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মাহাবুব শিশির।
পরিবেশ অধিদপ্তেরর উপ পরিচালক মিসেস শওকত আরা কলি এপ্রসংঙ্গে বলেন, নদীর মতো এরকম প্রতিটি সম্পদের মালিক দেশের জনগণ। তাই এসব রক্ষা করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকার জনগণেরও সদিচ্ছা ও সহযোগিতা দরকার। প্রফেসর ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রকৃতি তার স্বাভাবিক নিয়মে বাঁচলে প্রতিটি মানুষ সুস্থ দেহমনে বাঁচবে- এই সত্যকে অনেকে স্বজ্ঞানে আজ ভুলতে বসেছে। কিন্তু গোমতীর মতো সকল নদী, পাহাড়, বন বনায়ন, পুকুর, জলাশয় দেশের ও মানুষের সবচে বড় সম্পদ। তার যেখানে যেটুকু হারাবে সে ক্ষতি কোনো দিন পূরণ হবার তো নয়ই বরং পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ও বিপদ আমাদের অন্যসব সম্পদকেও একদিন মূল্যহীন করে তুলবে। তাই সময় থাকতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এব্যাপারে দৃশ্যমান কার্যকর উদ্দ্যোগ ও আন্তরিক প্রচ্ষ্টো দেখতে চাই।
মতবিনিময় শেষে গোমতী নদীর দখল ও ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও বাপা নেতৃবৃন্দ। বর্তমানে ব্যক্তিগত বসতবাড়ীসহ ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে নদীর দুই তীর দখলের প্রতিযোগিতায় পরিধি পূর্বের চেয়ে দিন কি দিন আরো বাড়ছে বলে লক্ষ্য করা যায়। দখল, দূষণ বন্ধ সহ কুমিল্লার পরিবেশগত সমস্যার উন্নয়নে বাপা গত ৫ বছরে জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আনুষ্ঠানিক দাবি জানানোর সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।