স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট ২৫ হাজার ৬৯৬ কোটি ৭৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) বছরে যা ছিল ২২ হাজার ৫৭৭ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ডিজিটাল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগের মূল কাজ হচ্ছে— সন্ত্রাস দমন, কৌশলগত গোয়েন্দা কার্যক্রম, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আইনশৃঙ্খলা ও জননিরপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সীমান্ত রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ। সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত কার্যক্রম গ্রহণ করা। এছাড়া যুদ্ধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করে বিচারিক তদন্ত সম্পাদন এবং আইনানুগ প্রসিকিউশন দাখিল ও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা।
তিনি বলেন, নতুন অর্থবছরে (২০২৩-২০২৪) এ বাজেট বরাদ্দ থেকে বেশ কিছু প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। সেগুলো হচ্ছে— হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো, ঢাকা মহানগর পুলিশের এলাকায় ৯টি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিভাগের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ করা হবে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ, পাঁচটি র্যাব কমপ্লেক্স এবং একটি র্যাব ট্রেনিং স্কুল নির্মাণ করা হবে। র্যাব ফোর্সের জন্য সদর দফতর নির্মাণ ও র্যাবের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বাজেটের আওতায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য সীমান্ত এলাকায় ৭৩টি আধুনিক বা কম্পোজিট বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট বা বিওপি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিজিবির নতুন গঠিত ৬২ ব্যাটালিয়নের অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মাণ এবং কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিক্স ও ফ্লিট মেনটেইন্যান্স ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে বাজেট বিবরণীতে। বিট্রি