চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ছেলে মাইনুদ্দিন মাইনুর (২৯) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বুধবার (৩১ মে) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. আজিজ আহমেদ ভূঞা অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও পটিয়ার পৌর সভার সাবেক মেয়র শামসুল আলম মাস্টারের ছেলে মাইনু তার মা জেসমিন আক্তারকে গত বছরের ১৬ আগস্ট গুলি করে হত্যা করে। পরে পুলিশ তার নিজ কক্ষে তল্লাশি করে খাটের নিচ থেকে ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পটিয়া থানার এসআই নুরুল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামির অস্ত্র আইনের ১৯(এফ) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। আগামী ২১ জুন মামলার পরবর্তী ধার্য করেছেন আদালত।
জানা গেছে, জেসমিন আক্তার পটিয়ার সাবেক পৌর মেয়র শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী। ঘটনার এক মাস আগে তার স্বামী মারা যান। তার বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট ছিল। সেসব অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে তা যাচাই করতে ১৬ আগস্ট সকালে মেয়ে শায়লা শারমিন নিপাকে নিয়ে ব্যাংকে যান। ব্যাংক থেকে ফেরার পর ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাকে না বলে কেন ব্যাংকে গেছে তা নিয়ে মা ও বোনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
একপর্যায়ে কোমর থেকে অস্ত্র বের করে প্রথমে বড় বোনকে গুলি করলে সেটি দেয়ালে লাগে। পরে মাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। ওই গুলি মায়ের বাঁ চোখে লাগে। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর পর পালিয়ে যায় ঘাতক। পরদিন ১৭ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে পালানোর সময় বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলার সাতকানিয়া থানাধীন রসুলপুর এলাকার একটি গুদামঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।