কুমিল্লার গৌরিপুরে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ দেবিদ্বারের বড়কামতা ইউনিয়ন ছাত্র্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সৈকতকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া মাজহারুল ইসলাম সৈকত দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। সে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের অনুসারি বলে জানা গেছে।
বুধবার (১০ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে অস্ত্র উদ্ধার ও সৈকতের গ্রেফতার বিষয়ে তথ্যতুুলে ধরেন কুমিল্লা পুলিশ সুুপার আব্দুল মান্নান পিপিএম।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, জামালকে খুন করতে যে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। একটি স্কুল ব্যাগের ভেতর থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে দুটি অত্যাধুনিক পিস্তল ও একটি অত্যাধুনিক রিভলবার রয়েছে। এ ছাড়া ২৪ রাউন্ড গুলি, নেকাব ও একটি জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৈকত স্বীকার করেছে, ঘটনার পর অস্ত্রগুলো তার কাছে রেখে যাওয়া হয়।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সৈকতকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করা হবে। আশা করি, এ ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।
গত ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে তিনজন ব্যক্তি বোরকা পরে এসে জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করেন। নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিতাস উপজেলায় বাড়ি হলেও তিনি দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন।