1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

হাওরে বীজতলায় এখনও পানি, বোরো চাষ নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৫৯০ বার পঠিত
ফাইল ছবি

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার হাওরগুলোতে এখনও পানি থাকায় কৃষকরা বোরো বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। ফলে বোরো চাষ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তারা জানান, সঠিক সময়ে বোরো বীজতলা প্রস্তুত করতে না পারলে বেরো চাষ দেরি হবে। ফলে গত বছরের মতো অকাল বন্যায় ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে।

খালিয়াজুরীর কৃষক মনির হোসেন বলেন, ‘এবার দেরিতে চারা রোপণ করতে হবে। তাই ফসল ভালো হওয়ার আশা করে লাভ নেই। আরও ১০-১২ দিন পরে বীজ (জালা) ফেললে তখন শীত চলে আসবে। ফলে ভালো চারা পাওয়া যাবে না। ভালো চারা না হলে ভালো ফসলও হবে না। আর ফসল পাকতে দেরি হওয়ায় আগাম বন্যায় ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে।’

কাদিরপুরের কৃষক শ্রী চরণ সরকার বলেন, ‘ধনু নদীর উৎস এবং সুরমার মোহনা থেকে উত্তরাঞ্চল খানিকটা উঁচু। আবার নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর ধনু নদী থেকে কিশোরগঞ্জের ইটনা পর্যন্ত হাওর এলাকাটি তুলনামূলক নিচু। ওদিকে ইটনা থেকে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যবর্তী মেঘনার মোহনা পর্যন্ত এলাকাটি ভরাট হয়ে উঁচু হয়ে গেছে। বিশেষ করে মেঘনার মোহনা থেকে উত্তর দিকে নদী খনন অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে প্রতিবছর অকাল বন্যা থেকে ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’

একই এলাকার কৃষক আব্দুস শহীদ তালুকদারের মৃত্যুর পর তার জমি দেখাশুনা করেন স্ত্রী আলেছা তালুকদার। হাওরে তাদের প্রায় ৬০ একর জমি আছে। জমির চাষাবাদ ও পত্তন (লিজ) থেকে আসা আয় দিয়েই তার সংসার চলে। গত বছরের আগাম বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ায় এ বছর জমি চাষ করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে জমি চাষ নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। আলেছা তালুকদার বলেন, ‘গতবার ফসল মার যাওয়ায় কৃষকরা আমার জমি পত্তন নিতে চাইছেন না। এবার হাওর থেকে পানি না কমায় কেউই বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। ফলে এবছর মাত্র ১৬ একর জমি ৪০ হাজার টাকায় পত্তন দিতে পেরেছি। বাকি জমি আনাবাদী রাখতে হবে বলে মনে হচ্ছে।’

এ সমস্যা কেবল খালিয়াজুরীর নয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধর্মপাশার পূর্বাঞ্চল তাহেরপুরের মাটিয়ানি হাওর, শাল্লার ছায়ার হাওর, দিরাইয়ের বরাম হাওর ও কালিয়াকুটা হাওর, জামালগঞ্জের হাওর, বিশ্বম্ভরপুরসহ অনেক এলাকায় একিই অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে হাওরাঞ্চল জুড়েই এখন কৃষকের আহাজারি চলছে।

বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান, নয়াগাঁও হাওরের বীজতলায় অন্যবছরগুলোতে আরও এক সপ্তাহ আগে ধান বপন করা হতো। কিন্তু এ বছর সেই ক্ষেতে এখনও পানি লেগে আছে। ফলে ওই অঞ্চলের কৃষকরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।

কৃষি বিশেষজ্ঞ ও হাওরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাওরের বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে বেড়িবাঁধ নিমার্ণ, গত বোরো মৌসুমসহ অসময়ে ভারী বৃষ্টিপাত, দীর্ঘদিন ধরে নদী খনন না করায় পলি জমে ভরাট হওয়া এবং মেঘনা নদীতে তিনটি ব্রিজ নির্মাণের কারণে হাওর থেকে পানি সরতে দেরি হচ্ছে।

খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাওরের পানি সরছে তবে তা খুবই ধীর গতিতে। গতবছর একই সময়ে পানি অনেক বেশি কমেছিল।’

এ সময় তিনি কৃষকদের শঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ব্রি-২৯ধান বপনের সময় পার হয়ে গেলেও ব্রি-২৮ জাতের ধান বপনের সময় আছে এখনও।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com