1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন

চাঁদপুরে স্ত্রী শাশুড়ী‌কে হত‌্যার ঘটনায় মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

শাহীন মির্জা :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২২৫ বার পঠিত
গ্রেফতার ঘাতক মামুন ও নিহত মা মে‌য়ে

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার গৃদকালিন্দিয়া (খাঁ বাড়ী)’র প্রবাসী সেলিম খানের ২য় কন্যা তানজিনা আক্তার ঋতু ও তার মা পারভীন বেগমকে উপযুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ঋতুর স্বামী মো: আল মামুন মোহন। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর থেকে মামলা তুলে নিতে আসামীরা বাদীকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার গৃদকালিন্দিয়া (খাঁ বাড়ী)’র প্রবাসী সেলিম খানের ২য় কন্যা তানজিনা আক্তার ঋৃতু এর সাথে লক্ষ্মিপুর জেলার রায়পুর থানার দেবিপুর (সাহেস্তানগর) মিজানবাড়ীর মো: মমতাজ মাষ্টারের পুত্র মো: আল মামুন মোহন এর সাথে ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর শরিয়ত মোতাবেক সামাজিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর তানজিনা আক্তার ঋতুকে যৌতুকের জন্য মামলার আসামিরা চাপসৃষ্টি করলে উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মো: আল মামুন মোহন সর্বদা মাদক সেবন করে তানজিনা আক্তার ঋৃতু উপর শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১৩ মে বিকেলে পরিকল্পিতভাবে তানজিনা আক্তার ঋৃতুর স্বামী মো: আল মামুন মোহন তানজিনা আক্তার ঋৃতুকে ছোরিকাঘাত করতে থাকলে তার চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা তার মা পারভিন আক্তার মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তানজিনা আক্তার ঋতু মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পারভিন আক্তারকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নেয়ার পর তার অবস্থা আশংকাজন দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থা পারভিন আক্তার মারা যায়। এদিকে তানজিনা আক্তার ঋতুর স্বামী মো: আল মামুন মোহন ঋতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে রক্ত মাখা শার্ট সহ হোন্ডা যোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক মোহন চিৎকার ক’রে বলছিল আমি ইমু ও ফেইসবুক স্ট্যাটাসে যা লিখেছি তা-ই করেছি, এখন আমাকে যা৷ ইচ্ছে করে ন আফসোস নেঔ। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় ঋতুর চাচা মো: লেয়াকত খান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামীরা হল মোহনের ভাই ও বোন মো: সুমন হোসেন, মনি বেগম মায়া। মামলার পর মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষ বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে মৃত ঋতুর বোন সানজিদা আক্তার রিমি বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় সুমন হোসেন, মনি বেগম মায়া, মো: রাজন, মর্জিনা বেগম, নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক সাধারণ ডায়রি করেন। পলাতক আসামীরা মামলা প্রত্যাহার না করলে মা ও বোনের মত রিমিকেও বোনের পরিনতি ভোগ করতে হবে বলে অপরাধজনক মৃত্যুর ভীতি প্রর্দশন করে আসছে।
সানজিদা আক্তার রিমি ও মামলার বাদী জানান, মৃত্যুর পূর্বে মো: আল মামুন মোহন তার ফেইসবুকে ও ইমুতে খুন করার বিষয়টি স্টেটাস দেয় এবং উক্ত স্টেটাসে পিস্তল ও ছুরির ছবি পোষ্ট করে। পোষ্টে যে ছুরির ছবি ছিল সে ছুরি দিয়েই তার বোন ও ভাইয়ের সহযোগিতায় এই জোরা খুনের ঘটনা ঘটায়।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com