১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম’ (এমএমটুএইচ) ভিসা নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত আরও অনেক বাংলাদেশি দেশটিতে সেকেন্ড হোম ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করছেন। মালয়েশিয়াকে সেকেন্ড হোম সুবিধা নেওয়ার তালিকায় শীর্ষে চীন, আর দ্বিতীয় অবস্থানে এখন বাংলাদেশের নাগরিকরা।
দেশের বিনিয়োগ বাড়াতে ২০০২ সালে মালয়েশিয়ান সরকার এমএমটুএইচ ভিসা চালু করে। এ সুবিধায় ১০ বছর মেয়াদে সেকেন্ড হোম ভিসাধারীরা মালয়েশিয়ায় বসবাসের অনুমতি পাবেন। ভিসাপ্রাপ্তরা ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের সঙ্গে আনতে পারবেন, পাশপাশি বাবা-মাকে নিয়ে আসতে পারবেন। মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম ভিসা পেতে হলে ৫০ বছরের নিচের বয়সীদের ৫ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ফিক্সড ডিপোজিট করতে হবে। ৫০ বা তার বেশি বয়সীদের সাড়ে ৩ লাখ রিঙ্গিত ফিক্সড ডিপোজিট করতে হবে। বর্তমানে ১ রিঙ্গিত সমান বাংলাদেশের ২৭ টাকা ৫০ পয়সা।
নিজেদের অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে মালয়েশিয়া। পর্যটন খাতে জোর দিচ্ছে দেশটি। একইসঙ্গে দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শিক্ষার্থী ও হাসপাতালে বিদেশিদের চিকিৎসার বিষয়েও জোর প্রচারণা চালাচ্ছে।
মালয়েশিয়া ট্যুরিজম প্রমোশন বোর্ডের সিনিয়র পরিচালক (আন্তর্জাতিক প্রোমোশন, এশিয়া-আফ্রিকা) মনোহরণ পেরিয়াস্বামী বলেন, শুধু অবকাশ যাপন নয়, আমরা সারা বিশ্বে মালয়েশিয়াকে বহুমাত্রিকভাবে তুলে ধরছি। আমাদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, শিক্ষার একটি হাবে পরিণত হবে মালয়েশিয়া। বাংলাদেশসহ অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে।
মনোহরণ পেরিয়াস্বামী বলেন, মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএমটুএইচ) ভিসা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। এই ভিসায় বাংলাদেশিরা সর্বোচ্চ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এখনও প্রতিনিয়ত নতুন করে এ ভিসার জন্য আবেদন আসছে। এটা শুধু বাংলাদেশ অবস্থানকারীরা নয়, অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও আবেদন করছেন। মালয়েশিয়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যবসাসহ সামগ্রিকভাবে নানা ধরনের সুবিধার জন্য সেকেন্ড হোমের আবেদন আসছে।
সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম ভিসা পেতে যে অর্থ ব্যয় করতে হয় তার উৎস নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলে না দেশটি। এ কারণে বৈধ অর্থের মালিকদের পাশপাশি কালো টাকার মালিকরাও মালয়েশিয়া সেকেন্ড হোম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলারা মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম সুবিধা নিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করলেও রাজনীতিবিদ, আমলাদের বেশির ভাগ কিনছেন বাড়ি। বাট্রি