পাবনার সাঁথিয়ায় মাত্র কয়েকঘন্টার ব্যবধানে কুকুরের কামড়ে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। কুকুরের কামড়ে আহতদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
আহতদেরকে সাঁথিয়া হাসপাতালে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত সাঁথিয়া পৌরসদরের পিপুলিয়া, নওয়ানী, ফকিরপাড়া, কালাইচাড়া, পূর্বভাবানীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। জানা গেছে শনিবার সকাল ৮টার দিকে একটি কুকুর এসে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই কামড়া চেচ্ছ। কুকুর টিকে ধরার চেষ্টা করেও কেউ ধরতে পারেনি। এইভাবে ওই কুকুর বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ ও বেশকিছু গরুছাগলকে কামড়িয়ে আহত করে। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের ভীড়ে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
আহতরা হলো, বাহিরণ (৪০), হাদিয়া (১২), মারজিয়া (২৩), রাব্বি (৭), প্রতিবন্দী সাথী (১৮), শফিক (৯), চম্পা (৪২), নিহারা (৪০), ফারহান (৩), সামিউল (৪), জ্যোতি আড়াই বছর, চম্পা (৬৫), সোহান (৭), জান্নাতুল (৮), রাহেলা (৮০), জিহাদ (৮), প্রতিবন্ধী গোলাম আযম (৩৫)।
জানা গেছে, রোগীদের একটা আইজি ভ্যাকসিন হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে। অন্যটা র্যাবিস ভিসি রোগীদের স্বজনেরা বাজার থেকে ক্রয় করে চিকিৎসা নিচ্ছে। হঠাৎ করে কুকুড়ের কামড়ে অনেক রোগী আহত হওয়ায় ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। বর্তমানে বাজারেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য পাবনা জেলা সদর থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাঁথিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ রকম ঘটনা সচারচর হয় না। বিষয়টা হঠাৎ করে হওয়ায় এ জন্য আমাদের একটু বেগ পেতে হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অনুদানের টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে তবে আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিয়েছি। শুধু একজন রোগীকে আমরা ভর্তি করেছি। বাকিদেরকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাণীসম্পদ চিকিৎসক ফারুক হোসেন জানান, কুকুরে বেশ কয়েকটি গরু ও ছাগলকে কামড়িয়ে আহত করেছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন জানান, ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য উপজেলা
পরিষদের রোগী কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রোগীদের সেবা দিতে। কেউ যেন সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।