কুমিল্লালালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন বনশ্রী গ্রামে লাক্ষণ পাড়ায় ছেলের শাবলের আঘাতে মা খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘাতক ছেলের নাম নুরে আলম সবুজ (৩০)।
নিহত মায়ের নাম নুরজাহান বেগম চশমা (৫০) ঐ গ্রামের কামাল হোসেন রাজা মিয়ার স্ত্রী। শনিবার (১০ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল ইসলাম তিতু এ তথ্য নিশ্চিত।
এলাকাবাসীসহ প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, মাত্র ৫ দিন আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসার পর থেকে সবুজ কারো সাথে কথাবার্তা না বলে চুপচাপ থাকত। ২ বছর সৌদি থাকলেও দেশে টাকা-পয়সা পাঠাতে পারেনি। শনিবার দুপুরে নুর আলম হঠাৎ পিতা কামাল হোসেন প্রকাশ রাজা মিয়া, ভাই আরশাদসহ কয়েকজনকে মারধর করে। পরে পার্শ্ববর্তী নানার বাড়িতে গিয়ে মামা কামরুল ইসলামের স্ত্রী প্রীতি (২৭), মামাতো বোন মাইশাকে মারধর করে। এ সময় ঐ বাড়ির লোকজন তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তোফায়েল হোসেন সহ (৫৫) কয়েকজনকে মারধর করে সে। খবর পেয়ে একপর্যায়ে তার মা তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে সবুজের হাতে থাকা শাবল দিয়ে সে মাকে তিনটি আঘাত করলে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলে মারা যান নুরজাহান বেগম চশমা।
এলাকাবাসী জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর বাড়িতে এসে বেডিংপত্র নিয়ে সবুজ ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় লোকজন তাড়া করলে সে রাস্তা বদলে পালানোর চেষ্টা করে। পরে দরবেশপাড়া দিঘির পাড় থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে লোকজন।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব নাগরিক খবরকে জানান, সবুজ মানসিক ভারসাম্যের কারণে তাকে সৌদিআরব থেকে দেশে পাঠানো হয়। আজ তাকে আত্মীয় স্বজনরা চিকিৎসার জন্য মানসিক হাসপাতালে নেয়ার কথা ছিল।
ঘটনাস্থলে আসা লালমাই থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ জানান, ঘাতক সবুজকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আকু