বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কাঁকনহাট পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের ঘিয়াপুকুর মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের নাম- লুৎফর রহমান বিশু। ধর্ষক মফিজুল ইসলাম তার ভাই আতাউর রহমানের ছেলে।ঘটনার শিকার ওই গৃহবধূ হলেন- একই এলাকার কামাল হোসেনের স্ত্রী সখিনা বেগম (৩৫)। দুই সন্তান ও স্ত্রী রেখে কাজের সূত্রে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন কামাল হোসেন।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুলিশ কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুকে গ্রেফতার করেছে। তবে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে গেছেন ধর্ষক মফিজুল ইসলাম। ধর্ষককে হাতেনাতে ধরা গ্রামের দুই বাসিন্দা আকবর আলী ও মেরাজুল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওই গৃহবধূর সঙ্গে প্রতিবেশী মফিজুল ইসলামের পরকীয়া চলছিল। বুধবার রাতে মফিজুল ইসলাম ওই গৃহবধূর ঘরে ঢোকেন। ওই সময় একই গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী ও মেরাজুল ইসলাম তাদের ধরে ফেলেন। পরে তাদের দু’জনকেই কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাৎক্ষনিক কাউন্সিলর উল্টো ওই গৃহবধূকে বকাঝকা করে ভাতিজা মফিজুলকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় ক্ষোভে রাতে বাড়িতে ফিরে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল লতিফ বলেন, ‘ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কাউন্সিলর পুলিশকে না জানিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
এই ঘটনায় পৌর কাউন্সিলরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে আদালতে নেয়া হয়েছে। ওই নারীর স্বামী ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।