সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগুন সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট ও খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবার খেলা হবে।
তিনি আজ সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি দলীয় সদস্য হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাবে বলেন, ‘বিরোধী দল হলেই বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা কালচারে পরিণত হয়েছে।
গাজীপুরের প্রকল্প, পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, মেট্রোরেল সামনে হচ্ছে। এলিভেটেড এগিয়ে গেছে। কর্ণফুলী ট্যানেল রেডি। কী চান আর? একটা সরকার এতগুলো প্রজেক্ট করেছে, যেদিকে তাকান ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ওভারপাস।
আপনাদের সময় কী ছিল? জিরো। ওই জিরোর বিরুদ্ধে খেলা হবে। ওই জিরো যে করছেন, ভোগান্তিতে রাখছেন-লাখো কোটি মানুষকে; সেটিই খেলা হবে।’
ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে পানির লাইন খুবই খারাপ। আমি নিজেও ভোগান্তিতে আছি। গলার ‘কাঁটা’ও বলেছি। স্বীকার করেছি। এসব স্বীকার করার কালচার আপনাদের মধ্যে নেই। প্রকাশ্যে বলেছি, প্রকল্পটার ডিজাইনে একটু ত্রুটি ছিল। সে কারণে প্রবলেম হয়েছে। কিন্তু আজকে যান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ওই রাস্তা এখন স্বাভাবিক। ৬ তারিখে ইনকামিংটা খুলে দেবো। না জেনে কথা বলবেন না। এত কাজ সরকার করছে, একটাতে ভুল-ত্রুটি হতে পারে। আমরা তো স্বীকার করেছি। অস্বীকার করিনি।
বিএনপির জনসভাকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে হারুনুর রশীদের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাস ধর্মঘট কেন হয়েছে, শিমুল বিশ্বাসকে (বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান) জিজ্ঞেস করুন। তিনি সড়ক পরিবহন সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। কেন মন্ত্রী বলবে? সে পরিবহনের নেতা। সড়ক পরিবহন সমিতির প্রেসিডেন্ট আওয়ামী লীগের শাজাহান খান। আর মালিক সমিতির প্রেসিডেন্ট জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা, সেক্রেটারি আওয়ামী লীগের-এনায়েত। ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের শিমুল বিশ্বাস। সে কোন দলের? সে একটা স্টেটমেন্ট দেয় না কেন? সে কি বিএনপি? নাকি অন্য কোনও দল? আপনাদের দলের নেতা। তাকে জিজ্ঞেস করেন। আগুনে বাস পুড়িয়েছে তো! বাসওয়ালারা এখন আর বিশ্বাস করে না। এরা বিএনপিকে দেখলেই মনে করে আগুন নিয়ে আসছে। বিএনপিকে দেখলেই মনে করে পেট্রোলবোমা। বিএনপিকে দেখলেই মনে করে ককটেল। এখন আবার পতাকা! লাঠিসোঁটার সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।