ভুয়া ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের একটি চক্রকে আটক করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডিবি লেখা একটি খাকি কটি জ্যাকেট, একটি হাতকড়া, দুই রাউন্ড গুলি, একটি চাকু ও ৯টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান এসব তথ্য জানান। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া প্রতারকরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চুরোক মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (২৭), কালিউতা গ্রামের সবুর মিয়ার ছেলে রতন মিয়া, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড় আলমপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মইন উদ্দিন (২০), মুরাদনগর উপজেলার শহিদ মিয়ার ছেলে ওসমান গণি (৩৫), বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার আমতলীপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কালিউতা গ্রামের সবুজ মিয়ার স্ত্রী আখি নূর (২৩) ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা বাজার গ্রামের ওসমান গণির স্ত্রী সোনিয়া বেগম ওরফে ফরিদা (২৯)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রংপুর জেলার বাসিন্দা জনৈক সাইফুল ইসলাম প্রায় এক মাস আগে কুমিল্লায় এসে দিনমজুরের কাজ করতো। ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রতারক চক্রের দুই সদস্য নগরীর চকবাজার এলাকায় ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তার মোবাইলে থাকা সকল নাম্বার কপি করে ওই মোবাইলটি তাদের নাম্বারে ডাইভার্ট করে দেয়। একপর্যায়ে তার স্বজনদের কাছে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের পরিবার ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সহায়তা চায় এবং জেলা ডিবি অফিসে যোগাযোগ করেও সন্ধান পায়নি। পরবর্তীতে গত ৩১ অক্টোবর অজ্ঞাতনামা প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের দায়ের করেন ভূক্তভোগী সাইফুল ইসলাম। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দুই নারীসহ চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ভূয়া ডাক্তার সেজে করোনাকালীন সময়েও করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় র্যাবের দায়ের করা একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।