1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

আনার‌স খাওয়ার উপকা‌রিতা

নাগরিক খবর অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৭০ বার পঠিত

আনারস বা Pineapple হলো একধরণের রসালো ও তৃপ্তিকর সুস্বাদু গুচ্ছফল। ফলটিতে আঁশ ও ক্যালরি ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও বিটা ক্যারোটিন। এসব অপরিহার্য উপাদান দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে।

আনারস খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুণ। এছাড়াও এটি কলস্টেরল ও চর্বিমুক্ত। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ফলের জুড়ি নেই। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Ananas comosus (L.) Merr.

ভাইরাসজনিত ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধে
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তা ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে ভুমিকা রাখে। নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসাবে আনারসের রস খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া জ্বর ও জন্ডিস প্রতিরোধে আনারস বেশ উপকারী ভূমিকা রাখে।

খালি পেটে আনারস খেলে কি হয়?

খালি পেটে সকালবেলা আনারস খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। আনারসে আছে এনজাইম ব্রমেলেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি। দুটো উপাদানই রোগ নিরাময়ে বেশ কার্যকর। অন্য রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আনারস খাওয়া দরকার।

ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়
আনারসে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ পাওয়া যায়। আনারসের ফাইবার বা আঁশ গুলো দ্রবণীয় নয় অর্থাৎ পুরোপুরি হজম হয় না। হজম না হওয়ার ফলে আঁশ গুলো টাইপ – ২ ডাইবেটিস প্রতিরোধ করতে পারে। তাই নিয়মিত আনারস খেলে ডাইবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

তবে যাদের ডায়াবেটিস হয়ে গেছে তাদের আনারস খাওয়া না খাওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

কারণ, আনারসে আছে অনেক বেশি পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি। আনারসের ২ টি চিনি উপাদান সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
উপস্থিত হলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নারীদের বেশি পরিমাণে আনারস খাওয়ার কারণে পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে বলে ডাক্তাররা বলে থাকেন।

শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে

শুনতে অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার এবং অনেক কম ফ্যাট রয়েছে। তাই ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত আনারস খাওয়া যেতে পারে চোখ বন্ধ করে।

ওজন কমানোর সহজ ২২টি উপায় জানুন এই আর্টিকেল পড়ে।

কৃমি দমন করতে সাহায্য করে
ক্রিমিনাশক হিসেবে আনারসের রস ভালো কাজ করে। নিয়মিত আনারসের রস খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়ে যায়।

কৃমি দূর করতে সকালবেলায় ঘুম থেকে জেগে খালি পেটে আনারস খাওয়া উচিত। আনারস খেলে কৃমি মরে যায়, কৃমি গুলো পেট থেকে বের হয় যায়।

কৃমি দমন করার সবচেয়ে ন্যাচারাল উপায় হচ্ছে আনারস। তাই কৃমি দমনে কিছুদিন পর পর আনারস খাওয়া যেতে পারে নিশ্চিন্তে।

আনারস এবং দুধ খাওয়া নি‌য়ে ভুল ধারনা:

আনারস এবং দুধ নিয়ে একট বানোয়াট গল্প আছে যে, আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়। আনারস একটি অ্যাসিডিক এবং টকজাতীয় ফল। যে কোনো টকজাতীয় জিনিস দুধের মধ্যে দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। বদহজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

মানবদেহের কোষের উপর ফ্রি-রেডিকেল বা মুক্ত মুলক বিরূপ ক্রিয়ার সৃষ্টি করে ফলে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে।

উচ্চ মাত্রায় পানিতে দ্রবনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি দেশী আনারসে রয়েছে। যা ফ্রি-রেডিকেল বা (মুক্ত মুলক) থেকে দেহকে সুরক্ষা প্রদান করে। ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত মারাত্মক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে সহয়তা করে।

কৃমি দমন করতে সাহায্য করে

ক্রিমিনাশক হিসেবে আনারসের রস ভালো কাজ করে। নিয়মিত আনারসের রস খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়ে যায়।

কৃমি দূর করতে সকালবেলায় ঘুম থেকে জেগে খালি পেটে আনারস খাওয়া উচিত। আনারস খেলে কৃমি মরে যায়, কৃমি গুলো পেট থেকে বের হয় যায়।

কৃমি দমন করার সবচেয়ে ন্যাচারাল উপায় হচ্ছে আনারস। তাই কৃমি দমনে কিছুদিন পর পর আনারস খাওয়া যেতে পারে নিশ্চিন্তে।

আনারসে প্রোটিওলাইটিক নামক একটি এনজাইম রয়েছে, যা ব্রোমালিন নামে পরিচিত। পৃথিবীর খুব কম খাদ্য উপাদানে এই এনজাইমটি পাওয়া যায়। এই এনজাইমটি প্রোটিন ভাঙ্গতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সার সেল ধ্বংশ করতে সাহায্য করে।

শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে

শুনতে অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার এবং অনেক কম ফ্যাট রয়েছে। তাই ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত আনারস খাওয়া যেতে পারে চোখ বন্ধ করে।

মানবদেহের কোষের উপর ফ্রি-রেডিকেল বা মুক্ত মুলক বিরূপ ক্রিয়ার সৃষ্টি করে ফলে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে।

উচ্চ মাত্রায় পানিতে দ্রবনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি দেশী আনারসে রয়েছে। যা ফ্রি-রেডিকেল বা (মুক্ত মুলক) থেকে দেহকে সুরক্ষা প্রদান করে। ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত মারাত্মক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে সহয়তা করে।

আনারসে প্রোটিওলাইটিক নামক একটি এনজাইম রয়েছে, যা ব্রোমালিন নামে পরিচিত। পৃথিবীর খুব কম খাদ্য উপাদানে এই এনজাইমটি পাওয়া যায়। এই এনজাইমটি প্রোটিন ভাঙ্গতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সার সেল ধ্বংশ করতে সাহায্য করে।

অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। আনারসের জুস তৈরি করা খুব সহজ একটি বিষয়।

এর জন্য প্রয়োজন ২ কাপ ‏আনারসের টুকরা, ২ টেবিল চামচ ‏চিনি, ২ টি ‏কাচা মরিচ, পরিমানমত ‏বিট লবন, ৩ কাপ ‏পানি ও পরিমানমত ‏বরফ। এরপর একটি ব্লেন্ডারে আনারসের টুকরা, বিট লবণ, কাচা মরিচ, পানি, চিনি ও বরফ দিয়ে সবকিছু এক সাথে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আনারসের সুস্বাদু জুস।

তবে অনেকে অনেকেই কাঁচা আনারস ব্যবহার করে থাকেন। জুস বানানোর জন্য কিন্তু এটি দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খুব বিষাক্ত। মাঝে মাঝে কাঁচা আনারস খাওয়ার কারণে বমির প্রবণতা দেখা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com