১০ ব্যাটালিয়ন বিজিবির গোয়েন্দা সদস্য সানোয়ারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে মাদক বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া যায়। বিশেষ সুত্রে জানা যায়, সানোয়ার গোয়েন্দা সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বৌয়ারা বাজার লক্ষীপুর পোস্ট, বিবির বাজার এলাকায় চাকুরীর সুবাধে অবৈধ অনেক মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাহাপুর এলাকার জনৈক শাহালমের নিকট সানোয়ার পাচ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানা যায় এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে সানোয়ারের ইয়াবা সেবন ও বিক্রির নানা তথ্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানায় , সানোয়ার প্রতিদিন যেকোন এক সময় সাহাপুর হাবুল মিয়ার ছেলে বশিররের সাথে ইয়াবা সেবন করত। ইয়াবা সেবনের কারনে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তৎকালীন সানোয়ার ইয়াবার একটি বড় চালান আটক করে বশিরের নিকট বিক্রি করে দেয়। ঐ ইয়াবা বিক্রির টাকাই তার নিকট পাওনা রয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন।বিজিবির এক সোর্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন টাকার বিনিময়ে সানোয়ারকে দিয়ে যে কোন ব্যক্তিকে চালান করা যায়।অন্য একটি সুত্র জানায়, কুমিল্লা শহরের হযরতপাড়া এলাকার এক ইলে্কটিক ব্যবসায়ী হোসেনের সাথে সখ্যতা রয়েছে। হোসেন তার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার নিয়ে প্রায় সময় সানোয়ারের সাথে সীমান্ত এলাকায় দেখা করে ইয়াবা নিয়ে আসার তথ্য জানা যায়।সুত্র জানায় এই হোসেনের মাধ্যম সানোয়ারের ইয়াবা ব্যবসা চলে। ব্যবসায়ী হোসেনের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার যোগে টাঙ্গাইল নিজ বাড়ীতে যাতায়াত করে সানোয়ার। চলতি বছরের রমজান মাসে লক্ষীপুর একটি ফার্মে ইকবাল নামের স্থানীয় এক যুবককে বিয়ার সেবনের সময় একটি বিয়ারসহ আটক করার পর ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইকবালকে ছেড়ে দেয়।এছাড়া গত দুই মাস পুর্বে মাদক বহনকারী হিরু নামের এক লোককে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করার পর দু হাজার পিস ইয়াবা তাকে ফেরত দিয়ে তিন হাজার অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। গত ১৪ জুলাই রাত এগারটায় বৌয়ারা বাজারের ভিতর থেকে স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও বিজিবির লাইনম্যান আবদুস ছাত্তারকে ধুমপান করার দায়ে আটক করে টাকা দাবী করে। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় গাঁজা সেবনের অজুহাত ওঠিয়ে ও গাজা পাওয়া গেছে গুজব ছড়িয়ে বৌয়ারা বাজার বিওপিতে নিয়ে যায়।বিশ্বস্ত একটি সুত্র জানায়, বিজিবির লাইনম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য স্থানীয় এক চোরাকারবারী সিন্ডিকেট ৫০ হাজার টাকা নায়েব সুবেদার হান্নান ও এফএস সানোয়ারের সাথে চুক্তি করে। চুক্তিকৃত টাকা ভোগ করার জন্য ফাঁদ করে সাত্তারকে ফাসাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিকল্পিত ভাবে সাত্তারকে গাজা সেবনের অজুহাতে বৌয়ারা বাজার থেকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে পরের দিন ১৫ জুলাই সকালে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মোবাইল কোর্টে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে ম্যাজিস্টেটের সামনে হাজির করে। ম্যাজিস্টেট স্বাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার মিল না থাকলেও বিজিবি সদস্যদের বক্তব্য শুনে ৬ মাসের সাজা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে। আ’লীগ নেতা ছাত্তারকে বিজিবির ষড়যন্ত্রমুলক গ্রেফতারে পুরো এলাকার সাধারন মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল গোলাম সারওয়ারের নিকট এলাকাবাসীর দাবী সাত্তারের গ্রেফতারের বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানান।আ/স