কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।তোর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপির নেতা মনিরুল হক সাক্কুকে ৩৪৩ ভোটে হারিয়ে মেয়র পদে বিজয় লাভ করেন তিনি।
বিজয়ী মেয়র রিফাত সম্পর্কে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, রিফাত একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে মানুষের জন্য সে কাজ করেছে। সে কলেজ জীবন থেকে ছাত্রলীগ করা ছেলে। ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াকালীন তৎকালীন জামায়াত শিবির ক্যাডারেরা তার হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছিল। মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসেও হাল ছাড়েনি রিফাত।
রিফাতের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বর্ণনা দিতে গিয়ে
বাহার বলেন, খন্দকার মোস্তাক কুমিল্লায় কখনো মিটিং করতে পারেনি। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ৫০০০ পুলিশ এনে মিটিং করেছিল। আমরা সেই মিটিং ভেঙে দিয়েছিলাম। সেই সময়ে সামরিক ট্রায়ালে একটানা সাড়ে তিন বছর জেলও খেটেছে রিফাত।
সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনেও নতুন কুসিক মেয়র জড়িত উল্লেখ করে বাহার বলেন, আমি ক্ষমতায় আসার পর রিফাতকে কয়েকটি স্কুল-কলেজের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। এসব স্কুল কলেজের কোনো ফান্ড ছিল না। আজকে এমন স্কুলও আছে যেখানে ১০ কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে।
রিফাতের জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় নিয়ামক কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাহার বলেন, জয়ের নিয়ামক আমার নেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক। এই নৌকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এই নৌকার পক্ষে আমি ছাত্রজীবনে কাজ করেছি। এই নৌকার জন্য আমি স্লোগান তুলেছি।
প্রসঙ্গত, বুধবারের (১৫ জুন) নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে আরফানুল হক রিফাতের নৌকা ও মনিরুল হক সাক্কুর (টেবিল ঘড়ির) মধ্যে। সাক্কু থেকে ৩৪৩ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন রিফাত।
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে আরফানুল হক রিফাত মোট ভোট পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০টি ভোট। আর মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯টি ভোট। সুত্র:যটে