1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আদমদীঘিতে আ’লীগের উদ্যোগে মুজিব নগর দিবস পালন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন

ক্ষমা করে দিও : মৃত্যুর আগে বাবাকে বললো ছেলে

নাগরিক খবর অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ জুন, ২০২২
  • ২৪৭ বার পঠিত

আমার এক পা উড়ে গেছে আব্বা আমি কালেমা পড়েছি। হয়তো আর বাঁচবো না। আমাকে ক্ষমা করে দিও।’ মৃত্যুর আগে বাবাকে ফোন করে এসব কথা বলেছেন মোমিনুল হক (২৫)। তিনি শনিবার (৪ জুন) সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

মৃত্যুর আগে ছেলের বলে যাওয়া কথাগুলো উচ্চরণ করে আমার এক পা উড়ে গেছে। আমি কালেমা পড়েছি। হয়তো আর বাঁচবো না। আমাকে ক্ষমা করে দিও। মৃত্যুর আগে বাবাকে ফোন করে এসব কথা বলেছেন মোমিনুল হক (২৫)। তিনি শনিবার (৪ জুন) সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

মৃত্যুর আগে ছেলের বলে যাওয়া কথাগুলো উচ্চরণ করে হাউমাউ করে কাঁদছেন মোমিনুলের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক ফরিদুল আলম চৌধুরী। তার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

তিনি নাগ‌রিক‌ খবর‌কে বলেন, রাতে একবার আমাকে ফোন দিয়েছিল মোমিনল। তখন বলেছিল, বাবা আমাদের কনটেইনার ডিপোতে আগুন লেগেছে। কেমিক্যালের ট্যাংক সব জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। তখন আমি বললাম, তুমি সতর্ক থাকো। ফোন কেটে যাওয়ার পর পুনরায় কল দিলে আর ধরেনি। কিছুক্ষণ পর ছেলে ফোন করে বলে, ‘আমার এক পা উড়ে গেছে বাবা। আমি কালেমা পড়েছি। হয়তো আর বাঁচবো না। আমাকে ক্ষমা করে দিও। এ কথা বলেই ফোন রেখে দেয়।’

ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। মোমিনুল ছোট। বিএম কনটেইনার ডিপোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল। তিন মাস আগে জীবনের প্রথম চাকরিতে যোগদান করেছিল।
সে হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজে মাস্টার্সের ছাত্র। বাঁশখালী উপজেলার চনুয়া ইউনিয়নে আমাদের বাড়ি। ছেলেকে হারিয়ে আমার সব শেষ হয়ে গেলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ ও আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার শতাধিক। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও আশপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি কে এম তানভীর বলেন, ইতোমধ্যে ৪০০ এর বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। ২২০০ বেডের এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স নেই। এ কারণে যারা মেডিক্যালে পড়ছেন, মেডিক্যাল জ্ঞান আছে তারাও এসেছেন চিকিৎসকদের সহায়তা করতে। রোগীদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করছেন তারা। এরপরও আমরা সেবা দিয়ে পারছি না।

তিনি বলেন, আহত ও দগ্ধদের মধ্যে আনসার সদস্য আছেন ৪৩ জন, পুলিশ সদস্য ১০ জন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আছেন সাত জন। এছাড়া ডিপোর শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ মিলে চার শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, আহত ও দগ্ধ অবস্থায় এ পর্যন্ত চার শতাধিক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অনেকের রক্ত প্রয়োজন। রক্ত দিতে আগ্রহীদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। করে কাঁদছেন মোমিনুলের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক ফরিদুল আলম চৌধুরী। তার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

তিনি বাংলা বলেন, রাতে একবার আমাকে ফোন দিয়েছিল মোমিনুল। তখন বলেছিল, বাবা আমাদের কনটেইনার ডিপোতে আগুন লেগেছে। কেমিক্যালের ট্যাংক সব জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। তখন আমি বললাম, তুমি সতর্ক থাকো। ফোন কেটে যাওয়ার পর পুনরায় কল দিলে আর ধরেনি। কিছুক্ষণ পর ছেলে ফোন করে বলে, ‘আমার এক পা উড়ে গেছে বাবা। আমি কালেমা পড়েছি। হয়তো আর বাঁচবো না। আমাকে ক্ষমা করে দিও। এ কথা বলেই ফোন রেখে দেয়।’

ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। মোমিনুল ছোট। বিএম কনটেইনার ডিপোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল। তিন মাস আগে জীবনের প্রথম চাকরিতে যোগদান করেছিল।

সে হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজে মাস্টার্সের ছাত্র। বাঁশখালী উপজেলার চনুয়া ইউনিয়নে আমাদের বাড়ি। ছেলেকে হারিয়ে আমার সব শেষ হয়ে গেলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ ও আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার শতাধিক। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও আশপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি কে এম তানভীর বলেন, ইতোমধ্যে ৪০০ এর বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। ২২০০ বেডের এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স নেই। এ কারণে যারা মেডিক্যালে পড়ছেন, মেডিক্যাল জ্ঞান আছে তারাও এসেছেন চিকিৎসকদের সহায়তা করতে। রোগীদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করছেন তারা। এরপরও আমরা সেবা দিয়ে পারছি না।

তিনি বলেন, আহত ও দগ্ধদের মধ্যে আনসার সদস্য আছেন ৪৩ জন, পুলিশ সদস্য ১০ জন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আছেন সাত জন। এছাড়া ডিপোর শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ মিলে চার শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, আহত ও দগ্ধ অবস্থায় এ পর্যন্ত চার শতাধিক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অনেকের রক্ত প্রয়োজন। রক্ত দিতে আগ্রহীদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com