বিএম কনটেইনার ডিপোতে প্রচুর পরিমাণে ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড’ নামের দাহ্য রাসায়নিকের মজুত থাকার কথা বলেছেন উদ্ধারকর্মীরা। সেখানে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড লেখা অনেক কনটেইনার পাওয়া গেছে। রবিবার (৫ জুন) বিস্ফোরক পরিদফতর বলছে, যদি নিশ্চিতভাবেই এটা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হয়ে থাকে, তাহলে এর অনুমোদন বিস্ফোরক পরিদফতর দেয় না। এমনকি কেমিক্যালটি যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তা এখন নিশ্চিত হওয়া নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিস্ফোরক পরিদপ্তরের বিস্ফোরক পরিদর্শক আব্দুল হান্নান।
আগুন লাগার পর থেকে সেখানে রাসায়নিকের উপস্থিতির কথা বলছিলেন উদ্ধারকর্মীরা। পরে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘কনটেইনার ডিপোটিতে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কেমিক্যাল রয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটলো, তা এখনও জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কাছাকাছি যাওয়া যাচ্ছে না।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের বিস্ফোরক পরিদর্শক আব্দুল হান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেমিক্যালটি যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তা এখন কীভাবে নিশ্চিত হওয়া গেলো? আর যদি নিশ্চিতভাবেই এটা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হয়ে থাকে, তাহলে এর অনুমোদন বিস্ফোরক পরিদপ্তর দেয় না। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনও সংস্থার অধীনে হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এত দ্রুত কীভাবে বলা সম্ভব কেমিক্যালটি কী। কাস্টমসের তালিকা দেখে এই কন্টেইনারে কী আছে, তা আগে জানতে হবে। এছাড়া সরকারের তরফ থেকে যদি কোনও তদন্ত কমিটি হতো, তারা তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবে। আমাদের কোনও তদন্ত কমিটি হচ্ছে না।’
কোন ধরনের রাসায়নিক ছিল বা ডিপো এলাকায় নিহত-আহতদের বিষয়ে জানতে ডিপোর মালিক মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।