1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জুলহাস কে জামায়াত নেতারা হামলা করে,আমি সিটি করপোরেশন থেকে দোকান ভাড়া নিয়েছি, আমার দোকান তারা ভাংচুর করে। বললেন মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা। মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপক পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ সহ বিএনপির তৃনমুল নেতাকর্মীরা বিস্তারিত ভিডিও তে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আড়াইহাজার উপজেলার মাটি ও মানুষের নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ ভাই। ডা. জুবাইদা রহমানের বক্তব্য | জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন বিজ্ঞান মেলা ২০২৫ আওয়ামী লীগের দোসরা অবৈধভাবে সিদ্ধিরগঞ্জে ড্রেজারের ব্যবসা এলাকাবাসীর ক্ষোভ জনতার ক্ষোভ অবৈধ ড্রেজারে সিদ্ধিরগঞ্জে জনদুর্ভোগ সোনারগাঁওয়ে উচ্ছেদ অভিযান এত ভালোবাসা কই যাবে দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলেন ডা. জুবাইদা

মুসলমান‌দের উপর প্রথম ওয়া‌জিব তাগুত‌কে অস্বীকার করা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২
  • ২৭৪ বার পঠিত

প্রত্যেক মুসলমান‌দের উপর প্রথম ওয়া‌জিব হ‌লো তাগুত‌কে অস্বীকার করা। তাগুত কি? প্রত্যেক সেই পূজ্যমান উপাস্য যে আল্লাহর পরিবর্তে পূজিত হয় এবং সে তার এই পূজায় সম্মত থাকে অথবা আল্লাহ ও তদীয় রসূলের অবাধ্যতায় প্রত্যেক অনুসৃত বা মানিত ব্যক্তিকেই তাগুত বলা হয়।

আল্লাহ যুগে যুগে রসূল (সা.) প্রেরণ করেছেন; যাতে তারা তাদের স্ব-স্ব সম্প্রদায়কে আল্লাহর ইবাদত করতে এবং তাগুত হতে দূরে থাকতে আদেশ করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ

অর্থাৎ, অবশ্যই আমি প্রত্যেক জাতির নিকট রসূল (সা.) প্রেরণ করেছি এই প্রত্যাদেশ দিয়ে যে, “তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত থেকে দূরে থাক।” (সূরা নাহল ৩৬)

তাগুত বহু প্রকার- তাগুতের প্রধান পাঁচটি বৈ‌শিষ্ট্য  –

১। শয়তান ও যে গায়রুল্লাহর ইবাদতের প্রতি আহবানকারী। এর দলীল আল্লাহ তাআলার এই বাণী,

أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَن لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ

অর্থাৎ, হে আদম সন্তান! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ প্রদান করিনি যে, তোমরা শয়তানের দাসত্ব করো না। কারণ সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা ইয়াসীন-৬০ আয়াত)

২। আল্লাহর বিধান বিকতকারী অত্যাচারী শাসক ও যেমন ইসলাম পরিপন্থী আইনপ্রণেতা। এর দলীল, আল্লাহ সম্মত ও সন্তুষ্ট নন এমন বিধান-রচয়িতা মুশরিকদের প্রতিবাদ করে তার বাণী,

أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُم مِّنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَن بِهِ اللَّهُ

অর্থাৎ, ওদের কি এমন কতক অংশীদার আছে, যারা বিধান দেয় এমন দ্বীনের যার উপর আল্লাহ অনুমতি দেননি? (সূরা শুরা-২১ আয়াত)

৩৷ আল্লাহর অবতীর্ণকৃত বিধান ছেড়ে অন্য বিধানানুসারে বিচারকর্তা শাসক ও যে আল্লাহর অবতীর্ণকৃত সংবিধানকে অচল মনে করে অথবা ভিন্ন সংবিধান অনুযায়ী বিচার ও শাসন করা বৈধ মনে করে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللَّهُ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ

অর্থাৎ, এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না তারাই তো কাফের। (সূরা মায়েদাহ ৪৪ আয়াত)

৪। আল্লাহ ব্যতীত ইলমে গায়েব (গায়েবী বা অদৃশ্য খবর জানার) দাবীদার। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُل لَّا يَعْلَمُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ

অর্থাৎ, বল, আল্লাহ ব্যতীত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কেউই গায়েব (অদৃশ্যের) খবর জানে না।’ (সূরা নামল ৬৫ আয়াত)।

৫। আল্লাহর পরিবর্তে (নযর-নিয়ায, মানত, সিজদা প্রভৃতি দ্বারা) যার পূজা করা ও যাকে (বিপদে) আহবান করা হয় এবং সে এতে সম্মত থাকে। এর দলীল আল্লাহ তাআলার এই বাণী,

وَمَن يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّي إِلَٰهٌ مِّن دُونِهِ فَذَٰلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ ۚ كَذَٰلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ

অর্থাৎ, ওদের মধ্যে যে বলবে, ‘তাঁর (আল্লাহর) পরিবর্তে আমিই মাবুদ তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি প্রদান করব। এভাবে আমি সীমালংঘনকারীদেরকে শাস্তি প্রদান করে থাকি। (সূরা আম্বিয়া ২৯ আয়াত)

জেনে রাখুন যে, তাগুতের সাথে কুফরী করা (তাকে অমান্য ও অস্বীকার করা) মুমিনের জন্য ওয়াজেব। এ ছাড়া সে সরল-সঠিক মুমিন হতে পারে না।। এর দলীল আল্লাহ তাআলার এই বাণী,

فَمَن يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِن بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىٰ لَا انفِصَامَ لَهَا ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

অর্থাৎ, সুতরাং যে তাগুতকে অস্বীকার করবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখবে সে অবশ্যই এমন এক সুদৃঢ় হাতল ধারণ করবে যা কখনো ভাঙ্গার নয়। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়। (সূরা বাক্বারাহ ২৫৬ আয়াত)

উক্ত আয়াত এ কথারই দলীল যে, যাবতীয় গায়রুল্লাহ (বাতিল) উপাস্যের ইবাদত থেকে না বাচা পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদত কোন ফল দেবে না। এই অর্থের প্রতিই ইঙ্গিত করে রসূল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই) বলে এবং আল্লাহর পরিবর্তে পূজ্য যাবতীয় উপাস্যকে প্রত্যাখ্যান করে তার জান ও মাল অবৈধ হয়ে যায়। (অর্থাৎ সে ইসলামী রাষ্ট্রে নিরাপত্তা লাভ করে।)” (মুসলিম)

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com