ভারতের কলকাতা থেকে ১০৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। সোমবার (৩০ জুন) বিকেল ৪টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি।
এর আগে দীর্ঘ আড়াই বছর পর রোববার (২৯ মে) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, করোনার কারণে আড়াই বছর ধরে এই রুটে যাত্রী পরিবহন বন্ধ ছিল। রোববার থেকে আবার এই পথে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। ট্রেনটি সপ্তাহে চারদিন (বুধবার, শুক্রবার, শনিবার এবং রোববার) ঢাকা থেকে কলকাতা যায়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সকাল সোয়া ৮টায় ছেড়ে কলকাতা চিতপুর স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টায়। কলকাতা থেকে ঢাকা আসে সপ্তাহে চারদিন (সোমবার, মঙ্গলবার, শুক্রবার এবং শনিবার)। কলকাতার চিতপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে।
২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকিটের দাম পুনর্নির্ধারণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ূন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ অনুযায়ী, ৫৩৮ কিলোমিটার এই রেলপথে ঢাকা-কলকাতা এসি সিটের ভাড়া ৩ হাজার ৬০৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৫৭০ টাকা। এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট অনুসারে বয়স নির্ধারিত হবে। সিঙ্গেল কেবিনে তিনটি সিট এবং ডাবল কেবিনে ছয়টি সিটের টিকিট দেওয়া হয়।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের ম্যানেজার লিটন চন্দ্র দে নাগরিক খবরকে বলেন, আজ বিকেল ৪টায় ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে যাত্রী নিয়ে পৌঁছায় মৈত্রী এক্সপ্রেস। তবে যাত্রী তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
তিনি বলেন, পূজা, ঈদের ছুটি এবং শীতকালে এই ট্রেনের সব আসনেই যাত্রী থাকে। অন্যান্য সময় গড়ে ৩০০ আসনে যাত্রী যায়। এখন করোনা পরবর্তী সময়ে ট্রেনটি চালু হয়েছে। তাই যাত্রী কিছুটা কম। এটা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। ট্রেনটিতে মোট ৪৫৬টি আসন রয়েছে।
২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়।