ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে শতকরা ৯৫ ভাগ মামলা করা হয় ব্যক্তি পর্যায় থেকে। বাকি ৫ ভাগ মামলা করে সরকার। সরকার যে মামলা করে তার সবকিছুই ডকুমেন্টভিত্তিক। এসব মামলার জন্য কেউ কোনোদিন আমার কাছে আসেনি । তদবিরও করেনি। তাহলে আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতা মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করলাম কিভাবে? প্রশ্ন করেন তিনি।
দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি’র আয়োজনে ও আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল’র সহযোগিতায় কক্সবাজারে শুরু হয়েছে চারদিনের সম্মেলন। শুক্রবার (২৭ মে) হোটেল কক্স টুডে-তে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেন।
বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ও আইএসপিএবি’র অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রশিক্ষণ ল্যাবও সম্মেলনে উদ্বোধন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ফেসবুক আমাদের সব চাওয়া মেটায় না। কিছু কিছু তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে। আগে মোটেই দিত না। ফলে অগ্রগতি আছে তাদের সাথে সম্পর্কের উন্নতিতে। তারা এখন শতকরা ৪০ শতাংশ অনুরোধ রাখে। ২০২৫ সালের মধ্যে তা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশে উন্নীত করতে চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, আমরা যেহেতু ফেসবুক, গুগলের মতো কোনও কিছু তৈরি করতে পারছি না, ফলে আমাদের গুগল, ফেসবুকের সঙ্গেই বসবাস করতে হবে। সেই বসবাসটা যতটা নিরাপদ করা যায় সেই চেষ্টা আমরা করছি। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা নয়, প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তির মোকাবিলা করছি আমরা। ফলে কোনও কিছু বন্ধ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পক্ষে আমরা নই।
আমরা এখন ৩৩৪০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছি। এই পরিমাণ ব্যান্ডউইথ চেক করার মতো সক্ষমতা (ডিপিআই) আমাদের ছিল না। আগামী ১৫ জুনের পরে নতুন মেশিন (ডিপিআই) বসবে। ফলে সেই সময়ের পরে দেশ থেকে আর কোনও জুয়ার সাইট, পর্নোগ্রাফির সাইট আর দেখা যাবে না। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা ২২ হাজার পর্নোগ্রাফির সাইট বন্ধ করেছি, ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। ডিপিআই মেশিনের সক্ষমতা না থাকার কারণে কিছু কিছু দেখা যাচ্ছিলো। সেটা আর থাকবে না।
কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহার, মোবাইল ফোনের মনোপলি ভাঙা, টুজি নেটওয়ার্ক চালুর ওপরই আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ২০০৮ সালে দেশে ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ১ লাখের মতো। বর্তমানে তা ১ কোটি ৩০ লাখ। তিনি উল্লেখ করেন, আইএসপিগুলো যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে তার ধারে কাছেও নেই মোবাইল ইন্টারনেট। ফলে ইন্টারেনট মানে হলো ব্রডব্যান্ড।