বিদেশি গণমাধ্যমে দেশকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিদের সংগঠন ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওকাব আহ্বায়ক বিবিসি বাংলার প্রতিনিধি কাদির কল্লোলের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জার্মান প্রেস এজেন্সির প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মিঠুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রী। এপি, ডয়েচে ভ্যালে, সিনহুয়া প্রতিনিধিসহ ওকাব সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষা, গণমাধ্যমের অর্থবহ বিকাশ এবং ভুঁইফোড় সাংবাদিক ও পত্রপত্রিকার মাধ্যমে যাতে বৃহত্তর সাংবাদিক সমাজের বদনাম না হয় এবং সর্বোপরি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য আমি নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধান, নানা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশ্বের গণমাধ্যম গত এক দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এমন একটি সংস্থা যারা ইসরায়েলি সেনাদের ব্রাশফায়ারে শিশু হত্যার প্রতিবাদ করে না। বাংলাদেশে বিএনপি-জামাত ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে হত্যা করলেও প্রতিবাদ করে না, আবার মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বলে। আফগানিস্তানে সংবাদ উপস্থাপনের কারণে নারীদের হত্যা করা হয়, যে দেশে সাংবাদিকতার সুযোগই নেই, তাদের পেছনে বাংলাদেশের অবস্থান দেখিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস নিজেরাই প্রমাণ করেছে যে তাদের মুক্ত গণমাধ্যম সূচক ও প্রতিবেদন বিদ্বেষপ্রসূত। একইসঙ্গে টিআইবি সব বিষয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের পার্থক্য হারিয়ে ফেলছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম যেভাবে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে, এটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরতে গিয়ে ড. হাছান মাহমুদ তার উদ্যোগে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়নের কথা বলেন। পাশাপাশি কয়েক দফা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ ডিশ টিভি উচ্ছেদ অভিযান করে বছরে দেশের ১ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার রোধ করা এবং বিদেশি শিল্পী ও বিদেশে চিত্রায়িত বিজ্ঞাপন প্রচারের ওপর কর আরোপের কথা জানান।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়েছে। এই মাধ্যমে যাতে কারও চরিত্র হনন, গুজব রটানো, কিংবা রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নিরাপত্তাহানি না ঘটে সেজন্য আপামর মানুষের জন্য এ আইন, কোনোভাবেই শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়। ট্রিবি