কুমিল্লার বুড়িচংয়ের সীমান্তবর্তী ভৈরবপুর (পাহাড়পুর) এলাকায় পিতার কাছে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে তাকে সহপাঠীদের সামনে থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নেয় পাওনাদারসহ চিহ্নিত কয়েকজন মাদক কারবারি। নির্যাতিত স্কুল শিক্ষার্থী সাহেদ হোসেন শান্ত (১৪) পাহাড়পুর এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের পিতা ইউসুফ মিয়া বুড়িচং থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, “কিছুদিন আগে পাশের গ্রাম ভৈরবপুর এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে নাহিদুলের দোকান থেকে একটি খাট বানিয়েছিলেন। প্রায় সব টাকা দেয়া হয়ে গেছে খাটের। আর ৪৫০ টাকা বকেয়া ছিলো। ঈদের কয়েকদিন আগে নাহিদুল আমার বাড়িতে এসে এই টাকার জন্য গালাগাল করে, এসময় তাকে অনুনয় করে জানাই আমার ছোট ছেলেটা কয়েকদুন আগে পানিতে ডুবে মারা গেছে কাজ করতে পারিনি হাতে টাকা নেই। সপ্তাহ খানেক পরে দিয়ে দেব। তবুও সে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে আমার গায়ে হাত তোলে এ নিয়ে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয় তার সাথে।
ঈদের দিন আমার ছেলে শান্ত বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হলে তাকে তার বন্ধুদের সামনে থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় নাহিদুলের ভাই অভিযুক্ত নাজমুল , আনোয়ার ও জসিম। নাজমুল তার বাড়িতে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে মারধর করে। এসময় আমি বাইরে কাজে ছিলাম খবর পেয়ে বাড়িতে এসে থানায় ফোন দেই। পরে স্থানীয় ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশ সেখান থেকে আমার ছেলে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ৪ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক হয়ে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় এসে আবারো মাদক ব্যবসা করছে তারা। নাজমুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমার ছেলেকে গাছে বেঁধে রেখে মারধর করেছে। আমি গরিব মানুষ, যেই সামান্য লেনদেন সেটা আমার সাথে কিন্তু তারা আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে। আমি এই জঘন্য ঘটনার সঠিক বিচার চাই। এবিষয়ে থানায় লিখত অভিযোগ দিয়েছি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নাহিদুল ও নাজমুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে বুড়িচং থানার এসআই শরিফুর রহমান রহমান বলেন,ভুক্তভোগীর পিতা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন,তদন্তে অভিযুক্তরা দোষী হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্র:যু