ঈদের আগে বেতন ও বোনাস পেতে রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরার বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভে নামতে বাধ্য হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
সংগঠনটি বলছে, ঈদ কোনো অকস্মিক বিষয় নয়। প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে উৎসব হয়। কিন্তু শিল্পমালিকরা আগে থেকে প্রস্তুতি না নিয়ে প্রতিবছর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায়, যা প্রমাণ করে ঈদের আগে বেতন-ভাতা নিয়ে যে গড়িমসি চলছে, তা মালিকদের ‘অবহেলা’ কিংবা ‘পরিকল্পিত’।
একই সঙ্গে তারা ঈদের ছুটির আগে সরকারি শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারই (২৮ এপ্রিল) সব শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিলের বেতন ও পূর্ণ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেকা গার্মেন্টস, ইন্ট্রাকো ফ্যাশান, স্কাইলাইনসহ বিভিন্ন কারখানায় বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভ দমনে পুলিশের লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, যা উদ্বেগজনক।
শ্রমিকরা ২০ রোজার মধ্যে বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি করেছিল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী- ২০ রোজার মধ্যে ৯২ শতাংশ কারখানায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি। একদিন পর অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল থেকে দেশের সব সরকারি অফিসে ঈদের ছুটি শুরু হবে। অথচ এখনো অনেক কারখানায় মার্চের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। ঈদ বোনাস দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক শিল্প এলাকায় শুক্র ও শনিবার ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু তা ব্যাংক লেনদেনে কোনো সমস্যা হলে সমাধানের নিশ্চয়তা দেয় না। শ্রম সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় দপ্তরের কর্মকর্তাদের আগামীকাল শেষবেলা থেকে দপ্তরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অর্থাৎ আগামীকাল প্রথমার্ধের পরে কোনো কারখানা মালিক বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে শ্রমিকদের আইনের আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। জানি