কুমিল্লায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক চোরাকারবারী নিহত ও র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্তে বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি ২ এর ইনচার্জ মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। তিনি নাগরিক খবরকে বলেন, র্যাবের সঙ্গে একদল সন্ত্রাসীর গুলিবিনিময় হয়। এ ঘটনায় এক সন্ত্রাসী নিহত ও র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন।
এ দিকে বন্দুকযুদ্ধে নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী এলাকার শরীফ নামের এক ব্যক্তি জানান, রাত দুইটার সময় গুলির আওয়াজ শুনে ঘর থেকে বের হয়েছেন। পরে তিনি বিভিন্ন লোকজনের শোর শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখেন রাস্তায় গুলিবিদ্ধ এক যুবককে, তিনি আরও বলেন, বুড়িচংয়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত রাজুর নাম ও ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখেছিলেন। সে সুবাধে গুলিবিদ্ধ যুবক রাজুকে তিনি চিনতে পেরেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন গণম্যাধ্যম ও টিভি চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, কুমিল্লা বুড়িচং শংকুচাইল নগর এলাকায় সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন রাজু। এর আগে শনিবার এ হত্যা মামলায় চারজন আসামিকে গ্রেফতার করেছিল থানা পুলিশ। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটাস্থল থেকে নিজতের লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।
নিহত রাজু (৩৫) কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারত সীমান্তের হায়দারাবাদ এলাকায় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজুকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নাম উল্লেখ করে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। এর আগে মনির ও পলাশ নামে এজাহারনামীয় দুইজনসহ চারজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।