ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ: কারাগারে চেয়ারম্যান
চেয়ারম্যান মো. জানে আলম, ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জানে আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নাগরিক খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী।
এর আগে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৬ জানুয়ারি জানে আলমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ মামলা করেন কার্যালয়টির সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফটিকছড়ির কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আজিজুল হক, একই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সুজিত কুমার নাথ, ক্যাশিয়ার আবুল কাশেম ও তৎকালীন ট্যাগ অফিসার প্রণবেশ মহাজন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের মোট ৮০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দৈনিক ২০০ টাকা মজুরি হারে ৪১ জন শ্রমিকের ছয় লাখ ৫৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয় এই টাকা।
তখন যাদের শ্রমিক বলা হয়েছে, তারা কেউ শ্রমিক নয়, সবাই স্বাবলম্বী।
তাদের মধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পুলিশ সদস্য, গ্রাম পুলিশ, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ছিল। তারা কখনো কৃষি ব্যাংকে যান নাই, কিংবা হিসাব খোলেননি এবং টাকাও উত্তোলন করেননি।
এরপর ২০২০ সালে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক (সম্প্রতি চাকরিচ্যুত) মো. শরীফ উদ্দিন তদন্ত করে ৪১ জন শ্রমিকের অর্থ আত্মসাতের দালিলিক প্রমাণ পাওয়ায় চেয়ারম্যানসহ বাকিদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে দুদক কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর চেয়ারম্যান জানে আলম হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিনের সময় শেষ হওয়ার পর তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।